চেন্নাই:  ছবির জগতে তাঁর একাধিক ছবি হিট। অভিনয়, পরিচালনা থেকে প্রযোজনা, সবকিছুতেই অন্যরকমের ছাপ রেখেছেন কমল হাসান। সম্প্রতিই তিনি সকলকে চমকে দেওয়ার মতো একটি খবর ঘোষণা করেন। রাজনীতিতে আসছেন কমল হাসান এবং তৈরি করবেন নিজের রাজনৈতিক দলও। এবার সেই জল্পনা উস্কে দিয়ে কমল জানালেন তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে এখন পরিবর্তন প্রয়োজন এবং তিনি সেই বদল আনতে উদ্যোগী। যদি সেই বদল খুব ধীরে আসে, তাহলেও তিনি পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর বলেও মন্তব্য করেছেন কমল।

কমল একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে আরও বলেন, তামিলনাড়ুতে খুব চটজলদি পরিবর্তন হয়তো তিনি আনতে পারবেন না, কিন্তু বদল আনার প্রক্রিয়া তিনি শীঘ্রই শুরু করে দিতে চান।

রাজনীতিতে আসার আগে দক্ষিণী এই অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নেপথ্য শিল্পীর রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা আমাকে ভোটে জিতিয়ে ক্ষমতায় আনলে কখনওই পাঁচ বছর অপেক্ষা করো না পরবর্তী নির্বাচনের জন্যে। আমি যদি রাজ্যবাসীর চাহিদা পূরণ করতে না পারি, তাহলে আমাকে যেন তত্ক্ষণাত্ ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন আমজনতা, মন্তব্য কমলের।

রাজনীতির যে বিষয়টিকে অসুখ বলে মনে করেন কমল, সেটা হল দুর্নীতি। তাঁর কথায় একই সঙ্গে দুর্নীতিকে ভেতরে ভেতরে প্রশ্রয় দিয়ে, বাইরে প্রতিবাদ করার নীতিতে তিনি বিশ্বাসী নন। তাঁর কথায় হয় আমাকে প্রকাশ্যেই সমর্থন করতে হবে, না হলে সম্পূর্ণ ছেঁটে ফেলে দিতে হবে।

কমলের কথায়, তাঁর ভাবনাচিন্তার সঙ্গে বর্তমানের কোনও রাজনৈতিক দলের আদর্শেরই মিল নেই। তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দল এআইএডিএমকে এবং ডিএমকে দুটোরই সমালোচনা করেছেন অভিনেতা। তাই মনে করা হচ্ছে রাজনীতিতে আসলে, তিনি নিজের রাজনৈতিক দল গঠন করবেন।

তবে সূত্রের দাবি, হাসানের সঙ্গে এখনও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে সীতারাম ইয়েচুরির। দিন কয়েক আগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। যদিও সেটাকে সৌজন্য সাক্ষাত্কারের আখ্যা দেওয়া হয়। এরপর কমল জানান তিনি বামপন্থী চিন্তাধারার ভক্ত। তিনি আর যাই করুক গেরুয়ার সমর্থনে কোনওদিনই সওয়াল করবেন না বলেও মন্তব্য করেন।