কলকাতা: সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee), ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen), অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (Anindya Chatterjee)-র পরে এবার কৌশিক সেন (Kaushik Sen) ও আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee) ও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly)। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হল টলিউড। 


সোমবার রাসবিহারীতে সিপিএমের স্টলে হামলার অভিযোগ করা হয়েছিল দলের তরফ থেকে । অভিযোগ ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে । এই হামলার অভিযোগের প্রতিবাদে রাসবিহারীতে সিপিএমের কর্মসূচি চলাকালীন গ্রেফতার করা হয়েছিল পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বেশ কয়েকজন। গ্রেফতার করে তাদের নিয়ে আসা হয়েছিল লালবাজারে । জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। 


এই ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবির চট্টোপাধ্যায় লেখেন, 'আমরা তোমায় ভালোবাসি কমলদা। তোমায় নিয়ে আমরা গর্বিত। সঙ্গে আছি।'


 






এই ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কমলেশ্বের গ্রেফতারির ছবি ব্যবহার করে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, 'ডাক্তারবাবু, ক্ষতিটা কিন্তু তোমার হচ্ছে না।'



আজ এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৌশিক সেন বলেন, 'যাঁরা ভাঙচুর করলেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশ কেন কমলেশ্বর, বিকাশরঞ্জনবাবু বা ওখানে ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্য ছিল তাঁদের গ্রেফতার করল সেটা আমি বুঝতে পারছি না। পুজোর মধ্যে বামপন্থীদের স্টল দেওয়া নতুন নয়। আমরা নিজেরাও স্টলে বসতাম। সেটা নিয়ে যে অসভ্যতা করা হল, সেটার জন্য নিন্দার ভাষা নেই।'


আরও পড়ুন: Shantanu on Kamaleswar arrest issue: 'ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা', কমলেশ্বর, বিকাশরঞ্জনের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শান্তনু সেন


এদিন লালবাজার থেকে বেরিয়ে এবিপি আনন্দকে কমলেশ্বর বলেন, 'গতকাল (রবিবার) রাসবিহারীতে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী সিপিএমের বইয়ের স্টল ভেঙে দেয় ও কমরেডদের মারধর করে। আজ সেই ঘটনার প্রতিবাদেই রাসবিহারীতে শ্রী চৈতন্য লাইব্রেরীর সামনে আমাদের একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রচারের জন্য একটি অটোও রাখা হয়েছিল। সেই সময়ে তৃণমূলের বেশ কিছু দুষ্কৃতী আমাদের দিকে ছুটে আসে ও আক্রমণ করে। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। গোটা ঘটনাই ঘটায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এরপর, ওই অঞ্চলে জমায়েত করা যাবে না এই অভিযোগে পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করে। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যেকে আক্রমণের হাত থেকে যাঁরা যাঁরা বাঁচাতে গিয়েছিলেন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। যে কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া ও কন্ঠরোধ করার চেষ্টা এটা। গ্রেফতারির কোনও কারণ স্পষ্ট করে বলতে পারেনি পুলিশ। কেবল বলা হয়েছে, মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছেন, তাই জমায়েত করা যাবে না'