কলকাতা: কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা। সোমবার রাসবিহারীতে সিপিএমের স্টলে হামলার অভিযোগ করা হয়েছিল দলের তরফ থেকে । অভিযোগ ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে । এই হামলার অভিযোগের প্রতিবাদে রাসবিহারীতে সিপিএমের কর্মসূচি চলাকালীন গ্রেফতার করা হয়েছিল পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বেশ কয়েকজন। গ্রেফতার করে তাদের নিয়ে আসা হয়েছিল লালবাজারে । জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen)।
আজ মোবাইল ফোনে এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শান্তনু সেন বলেন, '৩৪ বছর যাঁরা বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করেছিল, যাদের আমলে মাটি খুঁড়লে কঙ্কাল পাওয়া যেত, তাঁদের মানুষ নির্বাচনে শূন্য করে দিয়েছে। তাই তাঁরা পুজোর সময়টুকুও ছাড়ছেন না। যে কোনও ভাবে ঝামেলা করে রাজনীতিতে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন। তাঁরা আগামী ৩৪ বছরেও রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না। বাংলার মানুষ তাঁদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। তাঁদের এখন শীতঘুমে থাকা উচিত। সেটা না করে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিকা করার জন্য কখনও কংগ্রেস, কখনও বিজেপিকে সাহায্য করছেন। বাংলার মানুষ সেটা বুঝতে পারছে।'
এদিন লালবাজার থেকে বেরিয়ে এবিপি আনন্দকে কমলেশ্বর বলেন, 'গতকাল (রবিবার) রাসবিহারীতে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী সিপিএমের বইয়ের স্টল ভেঙে দেয় ও কমরেডদের মারধর করে। আজ সেই ঘটনার প্রতিবাদেই রাসবিহারীতে শ্রী চৈতন্য লাইব্রেরীর সামনে আমাদের একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রচারের জন্য একটি অটোও রাখা হয়েছিল। সেই সময়ে তৃণমূলের বেশ কিছু দুষ্কৃতী আমাদের দিকে ছুটে আসে ও আক্রমণ করে। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। গোটা ঘটনাই ঘটায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এরপর, ওই অঞ্চলে জমায়েত করা যাবে না এই অভিযোগে পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করে। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যেকে আক্রমণের হাত থেকে যাঁরা যাঁরা বাঁচাতে গিয়েছিলেন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। যে কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া ও কন্ঠরোধ করার চেষ্টা এটা। গ্রেফতারির কোনও কারণ স্পষ্ট করে বলতে পারেনি পুলিশ। কেবল বলা হয়েছে, মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছেন, তাই জমায়েত করা যাবে না'