কলকাতা: সদ্য রাজনীতিতে পা দিয়েছেন, এসেছে সাফল্যও। নির্বাচনে জয়লাভ করে পর্দার অভিনেতা এখন ব্যস্ত বিধায়ক। একেবারে পাকা রাজনীতিবিদদের মতই সামলাচ্ছেন সমস্ত কাজ। এর মধ্যে ঝড় এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও। বিবাদের জেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্ত্রী। পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কাঞ্চনও। তারপরেও নিজের লক্ষ্যে অটল তিনি। কেবল মায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে আবেগপ্রবণ হলেন অভিনেতা।


আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেতা। লেখেন, 'এক বছর হয়ে গেলো মায়ের আঁচল, মায়ের কোল এবং মায়ের কাঁধে মাথা রেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস হারিয়ে ফেললাম । কখনো ভাবিনি তোমাকে ছেড়ে বাকি জীবনটা কাটাতে হবে। আজকে দেখতে দেখতে এক বছর কেটে গেল । তোমাকে ছেড়ে বেঁচে থাকার লড়াই কী জিনিস, সেটা ভোগ করছি ! যেখানেই থেকো মা ভালো থেকো। তোমাকে খুব মিস করছিI তোমাকে ভালোবাসি মা।' 


সম্প্রতি বিরোধী শিবিরের বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের মা মারা যাওয়ার পর ফোন করে তাঁর খোঁজ নিয়েছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। এই বিষয়ে এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন বলেছিলেন, 'এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানবিকতা থাকাটা খুব প্রয়োজন। উনি আমার বিরোধী দলনেতা, তাঁর নীতি আলাদা হতে পারে। কিন্তু মাতৃবিয়োগ সবার কাছেই সমান কষ্টের। গত বছর জুলাই মাসে আমার মা মারা গিয়েছেন। মানবিক দিক থেকে আমার মনে হয়েছিল সমবেদনা জানানো উচিত। থিয়েটার, সিনেমা, রাজনীতি.. সবটাই মানুষের জন্য কাজ। মনে হয়েছিল মানুষের কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ানো উচিত।


সম্প্রতি বাবার সঙ্গে ছোটবেলার ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা। লিখেছিলেন, 'বাবা তোমার কথা খুব মনে পড়ছে। তুমি বেঁচে থাকলে তোমার কোলে মাথা রেখে মনের কথা বলতাম।'


গত ২১ জুন একে অপরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন কাঞ্চন মল্লিক ও পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, পিঙ্কিকে জোর করে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করেছেন শ্রীময়ী ও কাঞ্চন। পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন কাঞ্চনও। পরেরদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন শ্রীময়ীও। জানিয়ে দেন, কাঞ্চনের সঙ্গে কাজের বাইরে তাঁর কোনওরকম সম্পর্ক নেই।