কলকাতা: বারে বারে আসত কাচের তলায় ফেলা হয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে। কখনও কখনও আবার তিনি মুখ খুলেছেন নিজেই। কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) ও বিতর্ক যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তবে একবার তিনি এই সর্বসমক্ষে নিজের এক প্রেমের সম্পর্কের গল্প বলেছিলেন তিনি। যদিও সফলতা পায়নি সেই সম্পর্ক।
একবার নাকি, এক বিজ্ঞানীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন কঙ্গনা। তখন তিনি রীতিমতো সফল অভিনেত্রী, কিন্তু সেই বিজ্ঞানী চিনতেন না কঙ্গনাকে। অভিনেত্রীর চেয়েছিলেন, তাঁর পেশার আকর্ষণে নয়, তাঁর সঙ্গে যিনি থাকবেন, তিনি যেন মানুষ হিসেবে সম্মান করেন তাঁকে। আর তাই প্রথমে নিজের পেশার ব্যাপারে তাঁকে কোনও আঁচই দেননি কঙ্গনা। মেলামেশা শুরু করেন খুব সাধারণ একটি মেয়ে হিসেবেই।
কিন্তু খুব বেশিদিন লুকিয়ে রাখা যায়নি কঙ্গনার পেশা। একবার কঙ্গনা সেই প্রেমিককে নিয়ে একটি ফ্যাশান শো-এর অনুষ্ঠানে যান। সেখানে পাপারাৎজিরা স্বভাবতই ঘিরে ধরে তাঁকে। তাঁদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে মেলামেশা করেন কঙ্গনাও। প্রেমিকপ্রবরের তখন চোখ কপালে। তিনি বলেন, 'তুমি গোটা দুনিয়ার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ তা তো আমি জানতামই না'। গল্প থামিয়ে কঙ্গনাও হেসে উঠে শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেন, 'একজন বিজ্ঞানীর বেশিরভাগ সময়টাই কেটে যায় ল্যাবে। গবেষণায়। তাঁর পক্ষে বাইরের দুনিয়ার সবকিছু চেনা জানা নাও সম্ভব হতে পারে। ও আমায় দেখেছে বাড়িতে বাসন মাজতে। আর সেই আমিই যে ব়্যাম্পে ডিভা, তা ওর কল্পনাতেও আসেনি।'
তবে এই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। কঙ্গনা জানান, তাঁদের সম্পর্ক শেষ হয়েছিল সম্মানের সঙ্গেই। ওই বিজ্ঞানী বিয়ে করতে চেয়েছিলেন কঙ্গনাকে। কিন্তু তখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কঙ্গনা। এই কারণেই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কঙ্গনা চেয়েছিলেন এমন একজন মানুষের সঙ্গে থাকতে যিনি কঙ্গনার জন্য় আপ্লুতও নন, আবার অহংকারীও নন। তাই ওই বিজ্ঞানীকেই মনে ধরেছিল তাঁর ।
হিমাচলের একটি ছোট্ট গ্রামে জন্ম হয় কঙ্গনার। চণ্ডীগড়ের ডিএভি স্কুলে পড়াশোনা করতেন কঙ্গনা। তবে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় অকৃতকার্য হন তিনি। অল্পবয়স থেকেই ফ্যাশন ডিজাইনে আগ্রহ ছিল তাঁর। এরপর খুব অল্প বয়সেই মডেলিং ও ফ্যাশনে মন দেন কঙ্গনা। বাবা-মা মেডিক্যাল পরীক্ষায় বসতে বললেও রাজি হননি কঙ্গনা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি দিল্লি চলে আসেন ।