মুম্বই: বিতর্ক এবং কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। কার্যত দু-জনেই দুজনের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার ফের আরও এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন তিনি। কাঁর বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা প্রসঙ্গে নিজেকে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী মহিলা’ বলে দাবি করেছেন কঙ্গনা (Kangana Ranaut)! 


সম্প্রতি শিখ সম্প্রদায়কে ‘খলিস্তানি জঙ্গি’ বলে বিতর্কে জড়ান কঙ্গনা। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) পোস্ট সেনরশিপ করা হোক এই আবেদন জানিয়েই একটি মামলা দায়ের হয় কোর্টে। 


এরপরই তাঁকে নিয়ে প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট খবরের একটি স্ক্রিনশট নিজের ইনস্টা স্টোরিতে (Instagram Story) শেয়ার করেন কঙ্গনা।  এই পোস্টে কটাক্ষ করে কঙ্গনা লেখেন, ‘হা হা হা, এই দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী মহিলা আমি’। সেই স্টোরিতে একটি মাথার মুকুটের ইমোজিও শেয়ার করেছেন তিনি। তাহলে কি নিজেকে রানি বলতে চেয়েছেন কঙ্গনা? তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি ‘সবচেয়ে শক্তিশালী মহিলা।’




উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃষকদের বিক্ষোভকে খলিস্তানি আন্দোলন বলেছিলেন কঙ্গনা। এরই প্রতিবাদে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মুম্বইয়ে এফআইআর দায়ের হয়। মুম্বইতে (Mumbai) দায়ের করা হয় এই এফআইআর (FIR)


এ ক্ষেত্রে প্রসঙ্গত, বিনয়ের সুরে ক্ষমা চেয়ে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করেন  প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তবে মুখ খুলতে ছাড়েননি পদ্মশ্রীপ্রাপ্তা কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। তিনি কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিলেন ঝাঁঝালো আক্রমণ করতে। মোদি সরকারের (Narendra Modi) সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছেন কেউ কেউ, কেউ আবার বলছেন ভোটের কথা মাথায় রেখে চাপের মুখে পদক্ষেপ। সেখানে কঙ্গনা প্রতিবাদী কৃষকদের জিহাদি বলে আক্রমণ করেন। 


কঙ্গনার রানাউত মন্তব্য করেছিলেন, 'খুবই দুঃখজনক বিষয়। লজ্জাজনক এবং অসমীচীন ঘটনা। সরকারের করা নিয়ম অমান্য করে রাস্তার লোকেরা যদি এবার আইন তৈরি করতে শুরু করে, তাহলে তারা তো জিহাদির সমান। অভিনন্দন সেইসব লোকেদের, যাঁরা এটা চাইছিলেন।'


কঙ্গনার এই ঝাঁঝালো আক্রমণে ফের সরগরম হয় সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media)। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের মতামত ভাগ করে নেন তিনি। আজ ইন্দরা গাঁধীর ১০৪ তম জন্মদিন। তাই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে কঙ্গনা আরেকটি স্টোরি পাবলিশ করেব। সেখানে তিনি ইন্দরা-স্মরণ করেই আবার প্রতিবাদীদের কটাক্ষ করেন কঙ্গনা। কঙ্গনা আরও বলেন, 'যখন দেশের মানুষের চেতনা যখন চলে যায়, তখন লাঠি দিয়েই একমাত্র ঠান্ডা করা সম্ভব। না হলে এদের আটকাতে দরকার স্বৈরতন্ত্র'।