নয়াদিল্লি : বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কের মাঝেই একটা স্বস্তির খবর। একদিকে যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার একদন বিজ্ঞানী দাবি করছেন, এখনই ওমিক্রন ভয়ঙ্কর কিছু নয়, তা বলার সময় আসেনি, তেমনই আবার আশা জাগাচ্ছে ওমিক্রনে আক্রান্তদের স্বাস্থ্য-সংবাদও। আর তাতেই WHO এবং করোনভাইরাস-বিশেষজ্ঞরা ক্রমবর্ধমানভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন যে নতুন Omicron ভ্যারিয়েন্টটির ধাক্কা 'অতি মৃদু' এবং এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার কোথাও কোভিড মৃত্যুর হার বাড়ায়নি।
WHO বুধবার বিভিন্ন দেশগ, যারা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাদের তা প্রত্যাহার করতে আর্জি জানায়। এক বিবৃতিতে হু বলে, ওমিক্রন ঘিরে এই গণ হিস্টিরিয়া শেষ হোক। পরিবর্তে সতর্কতা নেওয়া হোক। হু-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, মানুষকে আশাবাদী হতে হবে কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি আগের ডেল্টা রূপের চেয়ে বেশি প্রাণঘাতী নয়৷ দেখা গেছে, ওমিক্রন নির্ণয় হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন :
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেই উপসর্গ, ধরা পড়ল সংক্রমণ, মার্কিন মুলুকে প্রথম ওমিক্রন-সংক্রমণ
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলিতে ফ্লাইটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার জন্য বিশ্বের দেশগুলিকেও আহ্বান জানিয়েছে। ডাব্লুএইচও যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশগুলির এই ধরনের প্রতিক্রিয়াকে "চরম" বলে অভিহিত করেছে।
নিউইয়ারের আগের বিশ্বজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন এই প্রজাতি! ফের সেই ভয়ঙ্কর আতঙ্কের ভ্রুকুটি। ফের করোনার জেরে থমকে যাবে নাকি বিশ্ব? ফের ফিরে আসবে না তো ‘লকডাউন’ শব্দটা? ওমিক্রন যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তার ইঙ্গিত হল করোনার বেটা ভ্যারিয়েন্টে মিউটেশন ছিল ৬টি, ডেল্টায় ১০টি আর আর সেখানে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি অন্তত ৩২টি মিউটেশন ঘটিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO সূত্রে খবর, সবার প্রথমে ‘ওমিক্রন’-এর হদিশ পাওয়া যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। ক’দিনের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে
- অস্ট্রেলিয়া
- অস্ট্রিয়া
- বেলজিয়াম
- কানাডা
- জার্মান
- জাপান
- স্পেন
ব্রিটেন-সহ ২৫টি দেশে।