এর পরই কঙ্গনা বলেন, কারও ক্ষমতা থাকলে মুম্বইতে নামা আটকে দেখাক। এই আবহেই কঙ্গনাকে ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা দিল কেন্দ্র। হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মেয়ের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছিলেন কঙ্গনার বাবা। তারপরেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ ।
এর অর্থ এখন থেকে ১১ জন নিরাপত্তারক্ষী পাবেন তিনি। তার মধ্যে একজন বা দু’জন কম্যান্ডো ও বাকিরা পুলিশ।
ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাওয়ার পর কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কঙ্গনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ট্যুইট করে তিনি বলেন, “এই ঘটনায় প্রমাণ হল, এখন আর কোনও দেশভক্তের বক্তব্যকে কোনও ফ্যাসিবাদী শক্তি দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমি অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি হয়ত বলতেই পারতেন কয়েকদিন পরে মুম্বই যেতে। কিন্তু দেশের মেয়ের সম্মান রক্ষা করেছেন। জয় হিন্দ।”
মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করা নিয়ে তাঁর সঙ্গে শিবসেনার বাকযুদ্ধ চলছিলই! রবিবার যা চরমে ওঠে! সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই কখনও বলিউডের নেপোটিজম, আবার কখনও বলিউডের ড্রাগ-যোগ নিয়ে সরব হয়েছেন কঙ্গনা। একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন মুম্বই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। আর এতেই চটে যায় মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় থাকা জোট সরকারের অন্যতম শরিক শিবসেনা। কিছুদিন আগে শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত দলের মুখপত্র সামনায় লেখেন, যদি কঙ্গনা রানাওয়াতের মনে মুম্বই পুলিশকে নিয়ে কোনও সম্মান না থাকে, অভিনেত্রী মুম্বই পুলিশকে অপেশাদার ভাবেন তাহলে আমার বলব ওঁনার মুম্বই ফেরার দরকার নেই। এটা মুম্বই পুলিশের অপমান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচিত ওঁনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। সঞ্জয় রাউতের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করে কঙ্গনা ট্যুইটে বলেন, আমি দেখছি, অনেকে আমাকে মুম্বইতে না ফেরার জন্য হুমকি দিচ্ছে। তাই আমি ঠিক করেছি, ৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই ফিরব। কখন মুম্বই এয়ারপোর্টে নামব, তা-ও বলে দেব। কারও বাবার ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখাক।
শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ের সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তুলনা টেনে বোমা ফাটান কঙ্গনা।ট্যুইট করে বলেন, সঞ্জয় রাউত, শিবসেনার নেতা আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন এবং বলছেন আমি যাতে মুম্বইতে না ফিরি, মুম্বইয়ের রাস্তায় আমার নামে কুত্সা রটানোর পর এবার প্রকাশ্যে হুমকি, কেন, মুম্বই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বদলে গেছে বলে মনে হচ্ছে?
সম্প্রতি হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানিয়েছেন, কঙ্গনা রানাউতের বাবা পুলিশি নিরাপত্তার জন্য লিখিত আবেদন করেছিলেন।