নয়াদিল্লি: কঙ্গনা রানাউত ও হৃত্বিক রোশনের তরজা নিয়ে এমনিতেই সরগরম বলিউড। দুই তারকার এই চাপানউতোরে এবার নয়া সংযোজন কঙ্গনার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড অধ্যয়ন সুমনের। এক সাক্ষাত্কারে কঙ্গনা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন অধ্যয়ন। কঙ্গনাকে দজ্জাল-মুখরা বলে দাবি করে অধ্যয়ন বলেছেন, তাঁর জীবনকে নরক বানিয়ে ছেড়েছিলেন কঙ্গনা। শুধু তাই নয়, কঙ্গনা তাঁকে তুকতাক করেছিলেন বলেও অভিযোগ অধ্যয়নের।অধ্যয়নের এই দাবিকে সমর্থন করেছেন তাঁর বাবা শেখর সুমন।
শেখর এমন কিছু কথা বলেছেন, যা অনেকেই চমকে দিতে পারে। এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে শেখর জানিয়েছেন, একদিন তাঁর স্ত্রী ছেলের ড্রয়ার খুলে সুপারি, কিছু কয়েন এবং অন্যান্য সব অদ্ভূত জিনিস দেখতে পান। তিনি শেখরকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘এসব কী, অধ্যয়ন তুকতাক করছে না তো’।
অধ্যয়নের মা অলকা সুমন জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরই তিনি বাড়ির পুরোহিতকে ডেকে পাঠান। সব দেখে শুনে পুরোহিতরা জানান, অধ্যয়নকে বশ করা হয়েছে। ওর চোখ দেখেই বোঝা যেত যে, ওকে হয় নেশাগ্রস্ত করে তোলা হয়েছে বা অন্য কেউ ওর ওপর চেপে বসেছে।

শেখর বলেছেন, ‘একদিন তো মাথা মুড়িয়ে বাড়ি ফিরল অধ্যয়ন। ওকে জিজ্ঞাসা করাতে ও বলল, তোমরা ফ্যাশন বোঝ না। শেষপর্যন্ত আমরা জানতে পারলাম, কঙ্গনাই ওকে এটা করতে বাধ্য করেছে’।
অলকা বলেছেন, ‘কঙ্গনা অধ্যয়নের সঙ্গে যে ব্যবহার করত তা খুবই ভয়ঙ্কর। ওকে গালিগালাজ, মারধর করত কঙ্গনা’।
শেখরের দাবি, তাঁর ছেলে কঙ্গনাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসত। কিন্তু কঙ্গনা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
শেখরের আরও দাবি, কাইটস-এর শ্যুটিং-এ ভারতের বাইরে গিয়েছিল কঙ্গনা। সেই সময় হৃত্বিককে পাঠানো কয়েকটি এসএমএস অধ্যয়নের নজরে আসে। এরপরই সম্ভবত অধ্যয়ন কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছিল।
অধ্যয়ন ও তাঁর বাবার অভিযোগ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে কঙ্গনার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁর অফিসের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করে বলা হয়, কঙ্গনার বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগে একেবারেই আজেবাজে। কঙ্গনা এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন।

পুরো সাক্ষাত্কার দেখুন-