কলকাতা: এই ধারাবাহিকে এবার দেখানো হচ্ছে শিমুলের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। মানালি দে (Manali Dey) ওরফে শিমুল তার ওপর হওয়া অত্যাচারের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল জেলাশাসকের কাছে। সেখানে গিয়ে যাবতীয় সমস্যার কথা জানায় সে। এরপরে, তাঁকে এক অভিনব উপায়ে সাহায্য করেন জেলাশাসক। সেই গল্পই দেখানো হবে ধারাবাহিকে।
শিমুল তার ওপর অত্যাচারের কথা জানাতে জেলাশাসকের কাছে গিয়েছিল। সেখানেই জেলাশাসক জানতে পারে, শিমুল নাচ ও গান করতে পারে। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে, শিমুলকে ১৫ মিনিটের স্লট দেয়। সেই অনুষ্ঠানের জন্য নতুন দল তৈরি করে শিমুল ও তার বন্ধুরা। সেই দলের নাম 'মনের কথা কই'। নিজেদের সঙ্গে হওয়া অত্যাচার, অবিচারের কথা এবার গান ও নাচের মাধ্যমে বলার সিদ্ধান্ত নেয় শিমুল ও তার বন্ধুরা।
অন্যদিকে, শিমুল জেলাশাসকের অনুষ্ঠানে নাচ ও গান করবে জেনে, সেটা আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে পলাশ। অফিসের বন্ধুদের দিয়ে পলাশ ভুয়ো খবর পাঠায় সে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। সেই কথা শুনে শিমুল, পলাশের দাদা ও তার স্ত্রী হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছয়। শিমুলের শাশুড়ি তাকে বলে, পলাশের মনের কষ্ট চেপে রেখেই এই অবস্থা হয়েছে। শিমুল যদি নাচ ছেড়ে দেয়, তবেই পলাশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে। শিমুলও বিভ্রান্ত হয়। সেখানে গিয়ে, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে শিমুল জানতে পারে গোটা বিষয়টাই ভুয়ো। শিমুল যাতে সময়ে অনুষ্ঠানে পৌঁছতে না পারে, সেই জন্যই পলাশ এই অসুস্থতার নাটক করেছে। শিমুল অনেক চেষ্টা করে সঠিক সময়ে অনুষ্ঠানে পৌঁছয় ও বন্ধুদের সঙ্গে পারফর্মও করে। সেখান থেকেই তৈরি হয় নতুন দল 'মনের কথা কই'। শিমুল ও তার বন্ধুরা, নাচ ও গানের মাধ্যমে নিজেদের পরিবারের কথা, সংসারের কথা বলবে, এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। পরিবারের শাসন পেরিয়ে শিমুলরা কতটা তাঁদের কথা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে সেই গল্পই বলবে ধারাবাহিক 'কার কাছে কই মনের কথা'।
আরও পড়ুন: Indrani Haldar: রাজনৈতিক চরিত্রে ওয়েব সিরিজে ইন্দ্রাণী, প্রিয়ঙ্কা-গৌরব-উষসীর ত্রিকোণ প্রেমের গল্প?