কলকাতা: সেফ আলি খানের (Saif Ali Khan) বাড়িতে তাঁর ওপর হামলার পরে নিরাপত্তার কারণে বাড়ি ছেড়েছিলেন করিনা কপূর খান (Kareena Kapoor Khan)। নিজের দুই ছেলেকে নিয়ে, দিদি করিশ্মা কপূর (Karishma Kapoor)-এর বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন করিনা। তবে শোনা যাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে সেফ আলি খানকে। সেই কারণেই সদগুরু শরণ-এ ফিরলেন বেবো। তবে তিনি বাড়ি ঢোকার সময় সঙ্গে ছিল না তাঁর দুই ছেলে। তিনি দুই ছেলেকে সঙ্গে করেই নিয়ে এসেছেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত ১৬ জানুয়ারি, নিজের বাড়িতেই হামলার শিকার হল সেফ আলি খান। এক আততায়ী ৬ বার ছুরিকাঘাত করে তাঁকে। জানা যাচ্ছে, জেহ-কে বাঁচাতে গিয়েই আহত হন সেফ। এরপরে তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। পিঠ থেকে বের করা হয় ছুরির ফলা। এখনও পর্যবেক্ষণে রয়েছেন অভিনেতা। তাঁকে সদ্যই আইসিইউ বেড থেকে ব্যক্তিগত কেবিনে স্থানাস্তর করা হয়েছে। তিনি ধীরে ধীরে উন্নতি করছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অভিনেতা নিজের হাতেই খাচ্ছেন। অল্পবিস্তর হাঁটাচলা করছেন। তবে মূলত রয়েছেন বেডরেস্টেই। সবকিছু ঠিক থাকলে, আগামী ২১ জানুয়ারি বা ২২ জানুয়ারি অভিনেতাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তবে বাড়িতে থাকলেও তাঁকে মূলত থাকতে হবে বিশ্রামে। এখনই কাজে যোগ দেওয়া চলবে না। শরীর একটু সুস্থ হলে তারপরেই তিনি ফিরতে পারবেন কাজে। এখন সেফের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না সবাইকে। কাছে যেতে পারছেন কেবল তাঁর মা শর্মিলা ঠাকুর, স্ত্রী করিনা কপূর খান ও পরিবারের একান্ত ঘনিষ্ঠ সদস্যরা।
মূলত পিঠের ক্ষতের জন্য তাঁকে সাবধানে থাকতে হচ্ছে। তাঁর পিঠে গুরুতরভাবে ছুরিকাঘাত লাগে। প্রায় শিরদাঁড়া ছুঁয়ে ফেলে ছুরির ফলা। বেরোতে থাকে ফ্লুইড। সেফ হাসপাতালে যাওয়ার পরে তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করে সেই ভাঙা ছুরির অংশই বের করা হয়। বন্ধ করা হয় শিরদাঁড়া থেকে বেরনো ফ্লুইড। চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, ক্ষত যদি আরও গভীর হত, তাহলে পাকাপাকিভাবে ক্ষতি হতে পারত সেফের। সেই পরিণতি থেকে বেঁচে গিয়েছেন অভিনেতা। তাঁর ঘাড়ে ও হাতেও ক্ষত রয়েছে। আপাতত হাসপাতালে অল্পসল্প হাঁটলেও মূলত বিশ্রামই নিতে হচ্ছে অভিনেতাকে। তাঁর পিঠের ক্ষত থেকে ফের রক্তক্ষরণ বা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।