মুম্বই: জনপ্রিয় ক্যুইজ রিয়েলিটি শো 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'এর (KBC 14) ১৪তম সিজনের প্রথম কোটিপতি হলেন মহারাষ্ট্রের গৃহবধূ কবিতা চাওলা। ৪৫ বছরের কবিতা জানান কীভাবে তিনি নিজের পড়াশোনা শেষ করেন। যদিও দশম শ্রেণির পর বাবা তাঁকে পড়ানোর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। কবিতা বিয়ে হয়ে যাওয়ার আগে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করতে পেরেছিলেন কারণ তাঁর শিক্ষক পাশে ছিলেন। অবশেষে স্বপ্নপূরণ! আর স্বপ্নের সেই হটসিটে পৌঁছতে তাঁর সময় লেগেছে ঠিক ২১ বছর ১০ মাস। অনেক সময়, শো নির্মাতাদের থেকে ফোন এসেছে এরকম মজা করতেন তাঁর ছেলেও। তিনি বলেন, 'রেজিস্ট্রেশন থেকে হটসিট পর্যন্ত সফরটা মোটেই সহজ নয় এবং খুবই দীর্ঘ। অনেক সময়েই আমি রেজিস্টার করতাম এবং ডাক পেতাম না। তারপর হয়তো প্রথম ফোনটা পেলেও পরে ডাকা হত না। অডিশনে সুযোগ পেলেও ইন্টারভিউয়ের ডাক পেতাম না। ছোট ছোট স্টেপ ফেলে এখানে পৌঁছতে ভালই সময় লেগেছে।' 


তার কোটি টাকার জন্য কী প্রশ্ন ছিল কবিতা চাওলার জন্য?


এক কোটি টাকার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার পর প্রতিযোগী কবিতা চাওলার কাছে আসে সাত কোটি টাকা জেতার প্রশ্ন। কী ছিল সেই প্রশ্ন? প্রতিযোগীর কাছে বেশ কঠিন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন। প্রশ্ন ছিল, একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে দ্বিশতরান করেছিলেন। কোন দলের বিরুদ্ধে তিনি ডবল সেঞ্চুরি করেছিলেন? অপশন ছিল, ১) সার্ভিসেস। ২) অন্ধ্র। ৩) মহারাষ্ট্র। ৪) সৌরাষ্ট্র। কিন্তু এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি প্রতিযোগী কবিতা চাওলা। আপনি কি পারবেন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে? প্রতিযোগী কবিতা উত্তর দিয়েছিলেন ১) সার্ভিসেস। কিন্তু সেটি সঠিক নয়। সঠিক উত্তর , ২) অন্ধ্র।


আরও পড়ুন - Raju Srivastava Passes Away: কী কারণে প্রয়াত হলেন রাজু শ্রীবাস্তব? জানাচ্ছেন তাঁর ভাইপো


প্রসঙ্গত, কুইজ শোয়ের সঞ্চালকের আসনে খোদ বিগ বি (Amitabh Bachchan)। কীভাবে তৈরি করেছিলেন নিজেকে? কবিতা বলেন, 'আমি আমার ছেলে বিবেককে বাড়িতেই পড়াতাম। কেজি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়িয়েছি। সেই সঙ্গেই আমি এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতাম কারণ আমি প্রথম থেকেই কেবিসি-তে আসার স্বপ্ন দেখতাম।' তিনি আরও বলেন, 'যখন আমি ছেলেকে পড়াতাম তখন আমিও পড়ে নিতাম ওর সঙ্গে কারণ ওই জ্ঞান ভবিষ্যতে কাজে লাগবে জানতাম। যখনই বাড়ির কাজ সেরে ফাঁকা পেতাম আমি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ঘেঁটে দেখতাম, আপডেটেড থাকতাম। সাধারণ জ্ঞান ঝালিয়ে নিতাম।' যদিও এই ক্যুইজের জন্য তৈরি হওয়া একেবারেই সহজ ছিল না। তিনি বলেন, 'একজন গৃহবধূর কাছে পড়াশুনো মাল্টিটাস্কিংয়ের সমান, তারওপর আমার সন্তান ও শ্বশুর-শাশুড়ি ছিলেন যাদের দেখাশোনা করতে হত। সবটা সামলাতে গিয়ে আমি টাইম ম্যানেজমেন্ট শিখে গেছি। যেমন বাইরে ঘুরে এতটুকু সময় আমি নষ্ট করতাম না।'