কেদারনাথের পুরোহিতদের সংগঠন কেদার সভার চেয়ারম্যান বিনোদ শুক্ল বলেছেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছে, এই ছবির মাধ্যমে লাভ জিহাদের প্রচার করে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। ছবিটি যদি নিষিদ্ধ না করা হয়, তাহলে আমরা আন্দোলন শুরু করব। কেদারনাথ মন্দিরের আশেপাশে যখন কুরুচিকর নাচের দৃশ্যের শ্যুটিং চলছিল, তখনই পুরোহিতরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।’
পুরোহিতদের আন্দোলনের হুঁশিয়ারির মধ্যেই কেদারনাথের সাধারণ মানুষ ছবিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার রুদ্রপ্রয়াগে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এ বিষয়ে বিজেপি নেতা অজেন্দ্র অজয় বলেছেন, ‘কোটদ্বারেও ছবিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। ছবিটিতে লাভ জিহাদ তুলে ধরে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। তাই ছবিটি নিষিদ্ধ করতে হবে। ছবিটির পোস্টারে দেখানো হয়েছে, একজন মুসলিম ব্যক্তি একজন হিন্দু মহিলাকে ডুলিতে করে নিয়ে যাচ্ছেন। এটি ভুল। কারণ, কেদারনাথের পথে কোনও তীর্থযাত্রীকে মুসলিমরা নিয়ে যান না। ‘ভালবাসাই তীর্থ’ এই ট্যাগলাইনও সমান আপত্তিকর।’ ট্যুইট করে সিবিএফসি চেয়ারপার্সন প্রসূন যোশীকে ছবিটি নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন অজয়।
২০১৩ সালের বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘কেদারনাথ’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন অভিষেক কপূর। দু’বছর আগে কেদারনাথে এই ছবির শ্যুটিং হয়। ছবির মুখ্য চরিত্রে সুশান্ত ও সারা। এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হচ্ছে সেফ আলি খানের মেয়ে সারার। সম্প্রতি ছবিটির টিজার মুক্তি পেয়েছে। এরপরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।