নয়াদিল্লি: শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন জনপ্রিয় মালয়লি অভিনেতা (Veteran Malayalam actor) ও প্রাক্তন লোকসভা সাংসদ (former Lok Sabha MP) ইনোসেন্ট (Innocent passed away)। চলতি মাসের শুরুতেই ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। বয়স হয়েছিল ৭৫।
প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা
সূত্রের খবর গতকাল কার্ডিওপালমোনারি সাপোর্টে ছিলেন অভিনেতা। যেখানে কৃত্রিমভাবে রুগীর শরীরে রক্ত পাম্প করা হয় এবং শরীরে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হয়। হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে, 'অভিনেতা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা ছিল, তাঁর মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়ে যায় যার ফলস্বরূপ হৃদযন্ত্রও স্তব্ধ হয়ে যায়।'
২০১২ সালে ক্যান্সার ধরা পড়ে অভিনেতার। তিন বছর পর তিনি ঘোষণা করেন যে এই মারণ রোগকে তিনি হারিয়েছেন। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের কাহিনি তাঁর বই 'লাফটার ইন দ্য ক্যান্সার ওয়ার্ড'-এ বর্ণনা করেছেন তিনি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন প্রবীণ অভিনেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'ইনোসেন্ট তাঁর অনন্য অভিনয় শৈলী দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন এবং একজন জন প্রতিনিধি হিসেবেও তিনি মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরে তাঁদের জীবন স্পর্শ করেছিলেন।'
অভিনেতা সাংসদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও, জানান তিনি একজন উজ্জ্বল উদ্ভাবক এবং প্রতিভাধর অভিনেতা ছিলেন।
ট্যুইটারে শশী থারুর লেখেন, 'চরিত্র অভিনেতা, কৌতুক অভিনেতা এবং কেরলের এক সময়ের সাংসদ ইনোসেন্টকে হারানোয় শোকস্তব্ধ, যিনি ৭৫ বছর বয়সে মারা গেলেন। একজন উজ্জ্বল উদ্ভাবক এবং প্রতিভাধর অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি, তিনি একজন ভাল মানুষ ছিলেন যাঁর সঙ্গে লোকসভায় আলাপ করে আনন্দিত হতাম। আত্মার শান্তি হোক। ওম শান্তি।' শোকপ্রকাশ করেছেন বিজেপির খুশবু সুন্দরও। তাঁর কথায় 'অমূল্য রত্ন' হারিয়ে গেলেন।
চলকুড়ি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৪ সালে ইনোসেন্ট জয়ী হন বাম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে। ১৯৪৮ সালে ইনরিনজালাকুণ্ডায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭২ সালে পা রাখেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। প্রথম ছবি 'নৃত্যশালা' প্রেম নাজির ও জয়াভারতীর সঙ্গে। মালয়লি শিল্পীদের গিল্ড 'অ্যাসোসিয়েশন অফ মালয়লম মুভি আর্টিস্টস'-এর সভাপতি ছিলেন তিনি, টানা ১২ বছর।
প্রবীণ এই অভিনেতা, যাঁকে অনুরাগীরা কৌতুকাভিনেতা হিসেবেই বেশি মনে রাখেন, প্রায় চার দশক ধরে সিনে দুনিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কাজ করেছেন প্রায় ৫০০ ছবিতে। শেষ তাঁকে ২০২২ সালে পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের 'কাড়ুভা' ছবিতে দেখা গিয়েছিল।