কলকাতা: প্রথমদিন শ্যুটিং। সেটে ঢুকে রাহুল মুখোপাধ্যায় (Rahool Mukherjee) দেখলেন, সেখানে হাজির দেব (Dev), যীশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta), ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta), শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্য়ায় (Shrabanti Chatterjee), অঙ্কুশ হাজরা (Ankush Hazra), খরাজ মুখোপাধ্যায় (Khoraj Mukerjee) থেকে শুরু করে প্রায় সব অভিনেতা অভিনেত্রী। হাসতে হাসতে পরিচালককে দেব বললেন, 'দেখ, তোর জন্য গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে একসঙ্গে নিয়ে এসে আলাপের সুযোগ করে দিলাম।'


সদ্য মুক্তি পেয়েছে নতুন ছবি 'কিশমিশ'-এর ট্রেলার। রঙ-বেরঙের ট্রেলার মন কেড়েছে দর্শকদের। সেইসঙ্গে দেব-রুক্মিণীর সমীকরণের মুগ্ধতা তো রয়েছেই। আপাতত শেষ পর্যায়ের কাটাছেঁড়া চলছে 'কিশমিশ' নিয়ে। তবে ১৬ দিনের শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ভোলার মত নয়। মোবাইল ফোনে এবিপি লাইভকে শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছিলেন পরিচালক রাহুল।


আরও পড়ুন: মুখে হাসি, একে অপরের দিকে অপলক চাহনি, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম অকপট প্রেম যশরতের


গোটা ছবির শ্যুটিং হয়েছে কলকাতায় ও পাহাড়ে। সেখানকার টুকরো টুকরো স্মৃতি এখনও উজ্জ্বল রাহুলের মনে। বলছেন, 'আমরা অনুমতি নিয়ে ঘুম স্টেশনে শ্যুটিং করছিলাম। অভিনেতা অভিনেত্রীদের অ্যাকশন বলা ততদিনে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমার কথা মত ট্রেন এগোচ্ছে, পিছোচ্ছে, এটা বেশ অনবদ্য অভিজ্ঞতা।'


আরও একটি দৃশ্য শ্যুটিংয়ের কথা মনে পড়ে রাহুলের। বলছেন, 'একটা দৃশ্যে ছিল, পাহাড়ের কোলে বসে একা একটা ছবি আঁকবেন দেবদা। ওয়াইড শটের জন্য দরকার ছিল একটা ফাঁকা পাহাড়ের। অরেঞ্জ ভ্যালি টি এস্টেট বলে একটা পাহাড় আমরা ফাঁকা করে দিয়েছিলাম। আমাদের কথা শুনে, শট নেওয়ার সময় সবাই ঘরের ভিতর চলে গিয়েছিলেন। চেকপোস্ট ফেলে ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল রাস্তা। যাতে গাড়ি চলাচল না করে। সেই ফাঁকা পাহাড়কে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখেই চলল শ্যুটিং। সেটা দারুণ অভিজ্ঞতা।'


কলকাতার রাস্তায় শ্যুটিংয়ের মজা কিছু কম নয়। রাহুল বলছেন, 'দেবদাকে স্কুলের ছাত্র সাজিয়ে শ্যুটিং করছিলাম কলকাতার রাস্তায়। দেবদা বেশ লজ্জা পাচ্ছিল। আমায় অনেকবার বলেছিল, 'আমায় কেউ চিনতে পারবে না বল...' দেবতা তারকা বাইরের জগতের কাছে। ভিতর ভিতর ভীষণ সাধারণ মানুষ একজন।'