নয়াদিল্লি: আজ ২৩ অগাস্ট। সদ্য প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথ (Krishnakumar Kunnath) ওরফে কেকে-র (KK Birth Anniversary) জন্মদিন। ১৯৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন সকলের প্রিয় এই গায়ক। ব্যতিক্রমী কণ্ঠস্বরের জাদুতে শ্রোতাদের মনে তৈরি করেছিলেন আলাদা স্থান। শুধু কণ্ঠই নয়, তাঁর উষ্ণ ব্যক্তিত্বও মন জয় করেছিল হাজারো মানুষের। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির পুরুষ কণ্ঠগুলির অন্যতম কেকে। ১৯৯৯ সালের 'হম দিল দে চুকে সনম' ছবির 'তড়প তড়প কে ইস দিল সে' গানের মাধ্যমে নিজের স্থান পাকা করে নেন তিনি।


কেকে-র ৫৩তম জন্মদিনে তাঁর সেরা কিছু গানের তালিকা রইল:


তড়প তড়প (হম দিল দে চুকে সনম): এই গান এককথায় কানের আরাম। ইসমাইল দরবারের সঙ্গীত পরিচালনায় কেকে-র কণ্ঠে এই গান জাদু। সলমন খান ও ঐশ্বর্যা রাইয়ের ছবির অন্যতম জনপ্রিয় গান এটি। এক সাক্ষাৎকারে গায়ক বলেছিলেন এটি তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম 'কঠিন' গান।


কেয়া মুঝে পেয়ার হ্যায় (ও লমহে): রোম্যান্টিক এই গানে প্রাণ ঢেলেছিলেন কেকে। ২০০৬ সালে মুক্তি প্রাপ্ত মোহিত সূরি পরিচালিত কঙ্গনা রানাউত ও শাইনি আহুজা অভিনীত ছবির গান এটি।


খুদা জানে (বচনা অ্যায় হসিনো): অন্বিতা দত্ত গুপ্তনের লেখা এই গানটি ২০০৮ সালের ছবির গান। কেকে ও শিল্পা রাওয়ের কণ্ঠে এই গান যুব সমাজের অত্যন্ত পছন্দের।


দিল ইবাদত (তুম মিলে): কেকে-র রোম্যান্টিক গানের তালিকায় আরও এক অমূল্য সংযোজন। ২০০৯ সালের ইমরান হাশমি ও সোহা আলি খান অভিনীত ছবির অত্যন্ত জনপ্রিয় গান।


আঁখো মে তেরি (ওম শান্তি ওম): ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া শাহরুখ খানের ছবির এই গান বোধ হয় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে। দীপিকা পাড়ুকোনের প্রথম ছবির সেই বিখ্যাত লুক এই গানের প্রকাশ পায়। বিশাল-শেখরের তৈরি, বিশাল দাদলানির লেখা এই গান আজও মানুষকে প্রেমে পড়তে বাধ্য করে।


জ়রা সা (জন্নত): সকলের প্রিয় 'জ়রা সা' গানও কেকে-র গাওয়া। নীলেশ মিশ্র ও সৈয়দ কাদরির লেখা প্রীতম চক্রবর্তীর সুরে কণ্ঠ দিয়েছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নথ। ইমরান হাশমি ও সোনল চৌহানের ওপর তৈরি ছিল গানটি।


জিন্দেগি দো পল কি (কাইটস): 'জিন্দেগি দো পল কি, ইন্তেজার কব তক হম করেঙ্গে ভলা'... কেকে-র কণ্ঠে এই কথাগুলো মানুষের মনে তৎক্ষণাত জায়গা করে নেয়। 


সচ কহে রহা হ্যায় (রহেনা হ্যায় তেরে দিল মে): কেকে-র দুর্দান্ত গলা, আর মাধবনের অনবদ্য অভিনয়ের মিশেল। এই গানের মাধ্যমেই পর্দার ম্যাডি পরতে পরতে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পেরেছিল।


আরও পড়ুন: Alia Bhatt: 'আমাকে পছন্দ না হলে আমার ছবি দেখবেন না', 'নেপোটিজম' বিতর্কে সরব আলিয়া ভট্ট


ইয়ারোঁ: কেকে মানেই ভালবাসা ও বন্ধুত্বের মিশ্রণ। তাঁর কণ্ঠে নিজের অ্যালবামের গান 'ইয়ারোঁ দোস্তি বড়ি হি হসিন হ্যায়', বন্ধুত্বের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিল। হাজার হাজার যুবক-যুবতীর প্রিয় গায়কের আসনে কেকে-কে বসানোর পিছনে এই গানের অবদান অনেক।


অলভিদা (লাইফ ইন এ... মেট্রো): ২০০৭ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। সেই ছবির বিখ্যাত গান 'অলভিদা' যেন কেকে-র মৃত্যুর পর আরও বেশি করে মানুষের মনে গেঁথে গেছে।


শুভ জন্মদিন কেকে।