কলকাতা: আজ বাবার জন্মদিন। সুরে ভর করে মসৃণ গতিতে, ভালবাসায় এগিয়ে চলছিল যাঁদের জীবন, তার এমন আচমকা সুর-ছন্দ কাটবে, ভাবতে পারেননি কেউই। কল্লোলিনী কলকাতায় এসে হঠাৎ থেমে গিয়েছিল কেকে-র সুর সফর। প্রয়াত হয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় এই সঙ্গীতশিল্পী। আর তাঁর জন্মদিন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আজ কলকাতার বারে বারে মনে পড়ছে হারিয়ে ফেলা প্রিয় শিল্পীকে। আর সেই মনখারাপ যেন আরও একটু উস্কে দিলেন কৃষ্ণকুমান কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath) ওরফে কেকে-র কন্যা তামারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ একটি পোস্ট শেয়ার করে নিয়েছেন তামারা। ভারি মধুর সেই ছবি, অচেনাও। বাবার কোলে, ছোট্ট ২ হাতে হারমোনিয়ামের রিড ধরে বসে রয়েছেন ছোট্ট তামারা। তাঁর চোখ ক্যামেরার দিকে হলেও, কেকের মন নিবিষ্ট সুর যন্ত্রের দিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিটি শেয়ার করে নিয়ে তামারা লিখেছেন, 'শুভ জন্মদিন বাবা। তোমার ঠিক কতটা ভালবাসি, তা কখনও ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তোমায় খুব মিস করি। আর হ্যাঁ.. অন্তত আমার স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে আমার জীবনে আবার ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি, আবার কখনও, কোনও একটা দিন আমরা একসঙ্গে কেক খেতে পারব আবার।'
মালয়ালি পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই সঙ্গীতশিল্পী। ১৯৬৮ সালের ২৩ অগাস্ট দিল্লির এক মালয়ালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে, বিয়ের পরে দিল্লি থেকে মায়ানগরী মুম্বইতে চলে আসেন তিনি। যে শিল্পী সুরে, গানে জয় করেছেন গোটা দর্শককুলকে, তাঁর নাকি ছিল না কোনও প্রথাগত সুর শিক্ষাই! দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাল কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন কেকে। তাঁর বিষয় ছিল বাণিজ্য। কিন্তু একসময় হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন কেকে। সুরের জগতে তাঁর কেরিয়ার শুরু মূলত তাঁর বিবাহের পরেই।
তবে সরাসরি ছবিতে সুযোগ পাননি কেকে। তাঁর গানের কাজ শুরু হয়েছিল, বিজ্ঞাপনী 'জিঙ্গলস' তৈরি দিয়ে। একাধিক নামি সংস্থার বিজ্ঞাপনের জিঙ্গল বানিয়েছিলেন কেকে। এ আর রহমানের (AR Rahman)-এর গানে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে প্রথম কাজ করেছিলেন কেকে। এরপরেই তাঁর বিজ্ঞাপনী দুনিয়ায় আসা ও পরবর্তীতে অ্যালবাম মুক্তি। তাঁর প্রথম অ্যালবাম 'পল' (Pal) দর্শকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। তাঁর গোটা কেরিয়ারের সেরা দুটি অ্যালবামই ছিল 'পল' ও 'ইয়ারোঁ'।