কলকাতা: আজ ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) ও কলকাতা নাইট রাইডার্স (kolkata Knight Riders)। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ কিছুটা দেরি করে শুরু হলেও তাতে খামতি হয়নি দর্শকদের উত্তেজনার। আর কেকেআর আর দিল্লি ক্যাপিটালসের এই দ্বৈরথে দর্শকাসনে হাজির রইলেন সোনম কপূর (Sonam Kapoor)। তিনি একা নন, সঙ্গী হলেন স্বামী আনন্দ আহুজা (Anand Ahuja)-ও। শুধু তাই নয়, সোনমের পাশে দেখা গেল অ্যাপেলের সিইও টিম কুককে (Apple CEO Team Cook)।


হলুদ শাড়িতে দর্শকাসনে হাজির ছিলেন সোনম। সঙ্গে নিয়েছিলেন মানানসই হলুদ চাদর। কালো ফরম্যালে হাজির ছিলেন আনন্দও। ক্যামেরা তাঁদের দিকে তাক করতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দর্শকেরা। টসে জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার সিদ্ধান্ত নেন বোলিং -এর। দিল্লি দলে দুই বদল ঘটানো হয়েছে। মুস্তাফিজুর ও অভিষেক পোড়েল বাদ পড়েছেন, সুযোগ পেয়েছেন ফিল সল্ট ও ইশান্ত শর্মা। কেকেআর একাদশে চার বদলের ঘোষণা করেন নাইট অধিনায়ক নীতীশ রানা। কেকেআরের হয়ে প্রথমে খেলতে নামেন লিটন দাস। 


১২৭ রানে ব্যাটিং শেষ করে কেকেআর। দিল্লির কাছে লক্ষমাত্রা রাখে ১২৮ রানের। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে আইপিএল মরসুমের শুরুটা দিল্লি ক্যাপিটালস অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতোই করেছিল। সেই দিল্লির বিরুদ্ধেই চরম ব্যর্থ কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটাররা। মাত্র ১২৭ রানে অল আউট হয়ে গেল কেকেআর। নাইটদের হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচে কার্যত একা লড়াই করলেন জেসন রয়। তিনি ৩৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। রাসেল শেষে ওভারে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে লড়াই করার খানিকটা রসদের জোগান দেন বটে। তিনি ৩৮ রানে অপরাজিত রইলেন।


এদিন ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। কেকেআর এই ম্যাচে একাদশে চারটি বদল ঘটায়। নাইটদের হয়ে অবশেষে মাঠে নামেন বাংলাদেশ তারকা লিটন দাস। অভিষেক ঘটান জেসন রয়। লিটন প্রথম বলেই চার মেরে নিজের আইপিএল কেরিয়ারের শুরুটা করলেও, ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মুকেশ কুমারের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। গত ম্যাচে শতরান হাঁকানো বেঙ্কটেশ আইয়ারও সম্পূর্ণ ব্যর্থ। শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে।


পাওয়ার প্লের ছয় ওভার শেষ হতে হতে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে কেকেআর। নাইট অধিনায়ক নীতীশ রানাও চার রানেই সাজঘরে। গোটা ইনিংস জুড়েই দিল্লি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কেকেআর ব্যাটাররা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাই খেলতে পারেননি। তবে জেসন রয় স্বাভাবিক ছন্দে না খেললেও, নিজের লড়াই চালিয়ে যান। মূলত তাঁর ইনিংসেই কোনওক্রমে শতরানে দোরগোড়ায় পৌঁছয় কেকেআর। রাসেল তাঁকে দীর্ঘক্ষণ সঙ্গ দেন বটে। তবে তিনিও এদিন ছন্দে ছিলেন না।


তবে রাসেলও হাল ছাড়েননি। নিজের স্বাভাবিক খেলা ভুলে ইনিংসের সবকয়টি বল খেলার লক্ষ্যেই ছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। নিজের সেই লক্ষ্যে সফলও হন তিনি। তিনি কোনওরকমে নাইটদের কিছুটা লড়াই করার রসদের জোগান দেন বটে। দিল্লির হয়ে মোটামুটি কম বেশি সব বোলাররাই ভালই বল করেন। ইশান্ত শর্মা, আনরিখ নরকিয়া, অক্ষর পটেল ও কুলদীপ যাদব দুইটি করে উইকেট নেন। বাংলার মুকেশ কুমার পান একটি উইকেট।