নয়াদিল্লি: দেশে নতুন করে দাপট দেখাচ্ছে নোভেল করোনাভাইরাস। কিন্তু টিকাগ্রহণে অনীহা সাধারণ মানুষের। তাতে রাজ্যগুলিকে টিকা সরবরাহ বন্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার। টিকার প্রয়োজন পড়লে, সরাসরি টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার কাছ থেকে টিকা সংগ্রহ (COVID Vaccines) করতে হবে বলে রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। দিল্লির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকাগ্রহণে মানুষের মধ্যে অনীহা তৈরি হওয়ায়, মজুত থাকা টিকা নষ্ট হচ্ছে বলে দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যগুলিকে (Coronavirus)।


উৎপাদনকারী সংস্থার কাছ থেকে টিকা সংগ্রহ করতে হবে রাজ্যকে


এই মুহূর্তে দেশে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রধান সচিব পিকে মিশ্রের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। তার পরই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, 'রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, টিকার প্রয়োজন পড়লে এ বার থেকে সরাসরি উৎপাদনকারী সংস্থার কাছ থেকেই তা সংগ্রহ করতে হবে। তার জন্য আগেভাগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অনুমোদনেরও প্রয়োজন নেই'।


বিভিন্ন রাজ্যের সরকার যদি সরাসরি উৎপাদনকারী সংস্থার থেকে টিকা কেনে, তাহলে তার টাকা কে দেবে, তা নিয়ে যদিও ধন্দ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে এ নিয়ে কিছু বলা নেই। রাজ্যগুলিকে তাহলে নিজের নিজের তহবিল থেকেই টাকান গুনতে হবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে। 


আরও পড়ুন: Gujarat Riots Case: মায়া কোডনানি থেকে বাবু বজরঙ্গি, গুজরাত দাঙ্গা মামলায় মুক্তি পেলেন ৬৯ জন



করোনা পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে টিকাকরণের যে কর্মসূচি শুরু হয়েছিল, তাতে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে প্রদত্ত প্রথম দু'টি টিকা এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের জন্য বরাদ্দ সতর্কতামূলক তৃতীয় টিকা বিনামূল্য়েই রাজ্যগুলিকে দেওয়ার নীতি গৃহীত হয়েছিল। এ ছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মী, জরুরি ক্ষেত্রে নিযুক্ত কর্মীদের টিকাও নিখরচায় দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে ১৫ জুলাই থেকে ৭৫ দিনের জন্য বিনামূল্যে সতর্কতামূলক তৃতীয় টিকা বরাদ্দ করা হয়েছিল সরকারের তরফে।


চাহিদা না থাকায় কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন বন্ধ


কিন্তু ওই সব টিকারই মেয়াদ শেষে হয়েছে মার্চের শেষ দিকে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি টিকার আকাল পড়েছে একাধিক রাজ্য়ে। কিন্তু দিল্লির একটি সূত্র জানাচ্ছে, চাহিদা না থাকায় কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার জেরে সরকারের ঘরে আর টিকার জোগান নেই। তাই আর টিকা কিনতে টাকা খরচে নারাজ কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।