নয়াদিল্লি: বিনোদন জগতের বাসিন্দা হলেও, যুদ্ধকালে দেশের হয়ে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন হাতে। তাতে এবার আহত হলেন 'ফওদা' খ্যাত ইদান আমেদি। ইজরায়েলি গায়ক, গীতিকার এবং অভিনেতা ইদান, নেটফ্লিক্সের 'ফওদা'য় অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পান। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাস সংগঠনের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হন তিনিও। সম্প্রতি গাজায় তিনি গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর। (Idan Amedi Injury)
ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে ইদানের জখম হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গাজার খান ইউনিসে যুদ্ধ চলাকালীন আহত হন ইদান। গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। হেলিকপ্টারে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইজরায়েলি কূটনীতিক আভিয়া লেভি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'ইদান আমেদি, 'ফওদা'খ্যাত অভিনেতা, গাজায় যুদ্ধ চলাকালীন গুরুতর আহত হয়েছেন। আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি আমরা'। গ্রিসে ইজরায়েলি দূতাবাসের তরফেও ইদানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে। (Israel Hamas War)
৩৫ বছর বয়সি ইদান ইজরায়েলে জনপ্রিয়। কুর্দ-ইহুদি পরিবারের ছেলে তিনি। বেড়ে ওঠা জেরুসালেমে। ইজরায়েলের আইন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীতেও মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। সেই সময় কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পে শামিল ছিলেন তিনি। এছাড়াও মার্শাল আর্ট, তায়কোন্ডো, তাই বক্সিংয়ে প্রশিক্ষিত ইদান। ২০০৫ সালে সেনা থাকাকালীনই ন্যাশনাল তায়কোন্ডো চ্যাম্পিয়নশিপে রানার আপ হন।
আরও পড়ুন: Web Series: লোভে পড়ে প্রতারণার শিকার কৌশিক রায়? আসছে নতুন ওয়েব সিরিজ '৩৬ ঘণ্টা'
সেনাবাহিনীতে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে বিনোদন জগতে কাজে ডুব দেন ইদান। তিনি নিজে গান লেখেন। ২০১২ সালে তাঁর ডেবিউ অ্যালবাম 'গোল্ড অ্যালবামে'র শিরোপা পা। ২০ হাজারের বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল ওই অ্যালবামের। পরের বছর দ্বিতীয় অ্যালবামটিও ততটাই জনপ্রিয় হয়। এর পর একে একে সিঙ্গলস-এর দিকে ঝোঁকেন ইদান। ২০১৭ সালে 'ফওদা'য় অভিনয় করেন ইদান। 'ফওদা' শব্দের অর্থ বিশৃঙ্খলা। ইজরায়েলের সন্ত্রাস দমন বাহিনীর উপর ভিত্তি করে সিরিজটি তৈরি।
তবে ইদান একাই নন, 'ফওদা'য় অভিনয় করা আরও অনেক শিল্পীই যুদ্ধে যোগদান করেছেন। ইজরায়েলি টেলি জগতের জনপ্রিয় মুখ লিয়র রেজ, মাতান মীর যুদ্ধে মারাও গিয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এখনও তাতে ইতি পড়ার লক্ষণ নেই। এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে ২২ হাজার ৮৩৫ জন প্যালেস্তিনীয়ের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫৮ হাজাপর ৪১৬ জন প্যালেস্তিনীয় নাগরিক। হতাহতের মধ্যে ৭০ শতাংশই মহিলা এবং শিশু। ৭ হাজার প্যালেস্তিনীয় এখনও নিখোঁজ। ইজরায়েলের তরফে প্রাণহানি হয়েছে ১ হাজার ১৩৯ জনের, যার মধ্যে ৩৭৩ জন সেনা।