কলকাতা: ভাদ্রের গরম আর মেঘ বৃষ্টির খেলা আকাশে। মাঝে মাঝেই ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি পড়ছে, ভিজিয়ে দিচ্ছে রাস্তা। সেদিকে অবশ্য তাঁর তোয়াক্কা নেই। সাদা সালোয়ার কামিজ ওড়নায় তিনি দিব্যি 'নিজের কাজ' করে চলেছেন। গাড়ি থামিয়ে লাইসেন্স পরীক্ষা থেকে শুরু করে হেলমেট নিয়ে সতর্কতা, ট্রাফিক আইন বলা... কর্তব্যে ফাঁকি নেই বিন্দুমাত্র। যাদবপুর থানার সিগনালে সকাল থেকে নিয়মমাফিক কাজ চলছে।


তবে পথচারীরা ট্রাফিক সিগনালে কর্মরত এই 'পুলিশ অফিসার'-কে দেখে থমকাচ্ছেন বা অবাক হচ্ছেন কেন? রুপোলি পর্দার মুখকে তো যে কেউ চিনে নেবেই এক লহমায়! কারণ ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে কর্তব্যরত 'পুলিশ অফিসার' আর কেউ নন, অপরাজিতা আঢ্য স্বয়ং। 


মুখে সেই চেনা চওড়া হাসি, খোলা চুলে এলোমেলো স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্য। পুলিশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন তিনি। 'কলকাতা চলন্তিকা'-র চরিত্র 'দেবীদি' একেবারে রাস্তায়। শুধু কী অপরাজিতা? সঙ্গে রইলেন পরিচালক খোদ। পাভেল। বুধবার সকালে যাদবপুরে অভিনব প্রচার সারল টিম 'কলকাতা চলন্তিকা'। 


আগামী ২৫ তারিখ মুক্তি পাবে পাভেলের নতুন ছবি 'কলকাতা চলন্তিকা'। সালটা ২০১৬। রোজকার ছন্দে ব্যস্ত শহর কলকাতা। হঠাৎ ছন্দপতন। ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান পোস্তা উড়ালপুলের একাংশ। চারিদিকে আর্তনাদ, চিৎকার.. সেই দিনের ক্ষত আজও দগদগে শহর কলকাতার বুকে। টিভির পর্দায় যে ভয়াবহ দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছিল তিলোত্তমা, ৬ বছর পেরিয়ে কেমন আছে সেই জায়গা, কেমন আছে কলকাতা? এখনও কী সে আগের মতোই 'চলন্তিকা'? এই বিষয়বস্তু নিয়েই তৈরি হয়েছে পাভেলের নতুন ছবি 'কলকাতা চলন্তিকা' (Kolkata Chalantika)। 


আরও পড়ুন: Ishaa Saha Exclusive: 'উড়ালপুল ভাঙার দৃশ্যের শ্যুটিং করতে গিয়ে শিউরে উঠেছি বার বার'


ছবির মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করছেন, ইশা সাহা (Isha Saha), রজতাভ দত্ত (Rajatabha Dutta), সৌরভ দাস (Sourav Das), অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya), শতাব্দী চক্রবর্তী, অনির্বাণ চক্রবর্তী (Anirban Chakraborty), দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy), খরাজ মুখোপাধ্যায় (Khoraj Mukherjee), অনামিকা সাহা (Anamika Saha)। তিন দিনের গল্প উঠে আসবে ছবিতে। বাবা ভূতনাথ এন্টারটেনমেন্টের ছাতার নীচে শতদ্রু চক্রবর্তী প্রযোজিত ‘কলকাতা চলন্তিকা’-র গল্প লিখেছেন পাভেল (Pavel) এবং অধ্যাপক স্বাতী বিশ্বাস। 


আজ যাদবপুর থানায় ছবির প্রচারে এসে উচ্ছ্বসিত অপরাজিতাও। এবিপি লাইভকে অপরাজিতা বললেন, 'কলকাতা পুলিশকে নিয়ে খুব গর্ব হয়। ওনাদের কাজ, পরিশ্রম, নিষ্ঠা নিয়ে ভালো লাগে। আজ, এখানে এসে বুঝতে পারছি ওনারা কতটা সহযোগীতা করেন। অনেকে পুলিশকে খারাপ কথা বলেন, তবে এক দুজনের জন্য সবাইকে খারাপ বলা উচিত নয়। খুব ভালো লাগছে আজ যাদবপুর থানাতে এসে।'