কলকাতা: আজ মহানায়ক উত্তমকুমারের (Uttam Kumar) জন্মদিনে 'অতি উত্তম' নিয়ে টুইট পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherjee)। এর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন 'অতি উত্তম' বাংলা ছবির জন্য তিনি প্রায় 'টানা ৪ বছর ধরে গবেষণা করেছেন। বারবার দেখেছেন ৬২টি ছবি।' আর এদিন সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'গুরুর জন্মদিনে, আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে, কোনও পোস্ট প্রোডাকশন প্রক্রিয়া এতটা এনজয় করিনি, হাসিনি, যতটা এখানে করেছি।' তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্যরজত দলুই, আনন্দিত রায় এবং অদীপ সিং মানকিকে এদিন হ্যাটস অফ করেছেন।


গতবছর ৩ সেপ্টেম্বরে উত্তমকুমারের জন্মদিনে 'অতি উত্তম' এর পোস্টার রিলিজের সঙ্গে ভক্তদের জানিয়েছেন তিনি তার এই ছবি তৈরি নিয়ে লম্বা জার্নির কথা। সজিত বলেন, ' টানা ৪ বছরের গবেষণা। ৬২টি ছবি বারবার দেখা, সঠিক জায়গা খুঁজে বের করা।' পাশাপাশি 'চিত্রনাট্য বদলানো, প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া, ভিএফএক্স বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক, সিনেমাটোগ্রাফার এবং ডিজাইনারদের সঙ্গে বারবার আলোচনার পরে, একটা স্বপ্ন সফল হতে যাচ্ছে। আপনি আছেন, এটাই যথেষ্ট।' সৃজিতের ছবিতে ভিএফএক্সের মাধ্যমে অভিনয় করতে দেখা যাবে মহানায়ক উত্তমকুমারকে। উত্তমকুমারের চরিত্রের পাশাপাশি এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি রয়েছেন ' 'এক্স=প্রেম' অভিনীত অনিন্দ্য সেনগুপ্ত এবং রোশনি ভট্টাচার্য।






উল্লেখ্য, জীবনকালে একের পর হিট বাংলা ছবি উত্তমকুমার উপহার দিয়ে গিয়েছেন। প্রথম জীবনে তাঁরও অভিনয় নিয়ে কথা উঠেছে। আস্তে কথা বলা, রিঅ্যাক্ট করা এমনকি স্টুডিও গিয়ে গায়কের গান রেকর্ড দেখে, পরে অবিকল সেইভাবেই লিপ দেওয়া, এই পারফেকশন শুরু করেছিলেন উত্তমকুমারই। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, শ্যাম মিত্র গানেই সবচেয়ে বেশি লিপ দিয়েছিলেন তিনি। তবে শুধু লিপ দেওয়াই নয়, নিজের কণ্ঠে গানও গাইতে ভালবাসতেন উত্তমকুমার। হারানো সুর, পথে হল দেরি, অ্যান্টোনি ফিরিঙ্গী, সন্ন্যাসী রাজা, নায়ক , প্রতিটি বাংলা ছবিতেই তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়ে গিয়েছেন। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তাঁর একের পর এক ছবি বক্স অফিসে হিট এনেছে। আজও বাংলার পরিচালকরা তাঁর ছবিকে ফ্রেমে মনে করে। অভিনেতারাও তারই দেখানো পথে আরও একটু সহজ হতে চায়। ১৯৮০ সালে ওগো বধূ সুন্দরী ছবির শুটিংয়ের সময় উত্তমকুমারের স্ট্রোক হয়। পরে তাঁকে কলকাতার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মাত্র ৫৩ বছর বয়েসে তিনি তামাম বাঙালির চোখ জল ফেলিয়ে চিরবিদায় নেন মহানায়ক উত্তমকুমার।