কলকাতা: জি বাংলা (Zee Bangla) চ্যানেলের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'কড়ি খেলা' (Kori Khela)। স্বামীকে হারিয়ে সন্তানকে একা মানুষ করার লড়াই করতে থাকা পারমিতার গল্প। কিন্তু জীবন তো এক জায়গায় থেমে থাকে না। ফের তাঁর বিয়ে হয়। এক নতুন সংসারে নতুন করে শুরু। আর সেখানে নতুন লড়াইয়ের সম্মুখীন হওয়া।


আপাতত পারমিতা ব্যস্ত তন্বী ও সৌভিকের চার হাত এক করতে। পারমিতার প্রথম পক্ষের ননদ তন্বী। সে তন্বীর কাছে দেওর সৌভিককে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। মনে মনে বহুদিন ধরেই তন্বীকে পছন্দ করে, ভীষণভাবে ভালবাসে সৌভিক। সে যখন এসে প্রাণের মানুষকে কঠিন পরিস্থিতিতে দেখতে পায় তখন এক কথায় তাঁকে বিয়ে করতে প্রস্তুত হয়ে যায়। 


কিন্তু গোটা ব্যাপারটা এত সহজ নয়। সৌভিকের কোনও রোজগার নেই। এখানেই সমস্যা। চৈতালী অর্থাৎ সৌভিকের মা, ছেলেকে শর্ত দিয়ে রেখেছেন যে যতদিন সে কোনও রোজগার না করছে ততদিন সে যেন বিয়ে না করে। ফলে তন্বীর হাত ধরতে চেয়েও পারে না সৌভিক। কারণ সে জানে, নিজের ভবঘুরে স্বভাবের কথা। সে জানে, কোনও ৯টা-৬টার চাকরিতে সে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখতে পারবে না। 


আরও পড়ুন: 7 years of Open Tee Bioscope: ৭ বছর আগে 'বন্ধুত্বের কালেইডোস্কোপে চোখ' রাখা, বিশেষ পোস্টে দিনটি স্মরণ ঋদ্ধির


এই দোটানায় যখন নাজেহাল সৌভিক। তখনই হাল ধরে পরী। সে সৌভিককে বোঝায় যে একটা সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ভালবাসাও কতটা জরুরি। শেষ পর্যন্ত রাজি হয় সৌভিক। বিয়ে হয় তন্বী ও সৌভিকের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি তারা সুখী হতে পারবে? এবং সৌভিকের মা, চৈতালী? তার কথার কী হবে? চৈতালী কি এই বিয়ে মেনে নেবে? 


এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে জি বাংলার ধারাবাহিক 'কড়ি খেলা'য়। ‘কড়ি খেলা’ ধারাবাহিকের দুই মুখ্য চরিত্র পারমিতা ও অপূর্ব। তাঁদের দু'জনেরই প্রথম স্ত্রী ও স্বামীর মৃত্যু হয়। এরপর তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করে নতুন করে সংসার শুরু করে। পারমিতার এক ছেলে ও অপূর্বর দুই মেয়ে।