কলকাতা: সামনেই কালীপুজো। প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজও। টেলিভিশনের পর্দাতেও সেই রেশ। কুমার শানুর গলায় শ্য়ামা সঙ্গীতে জমে উঠল সঙ্গীতের মঞ্চ।


'আমার সাধ না মিটিল.. আশা না পুরিল..', চোখ বন্ধ করে শ্য়ামা সঙ্গীত গাইছেন কুমার শানু (Kumar Sanu)। 'সুপার সিঙ্গার' এর মঞ্চে এই প্রথমবার। মুগ্ধ হয়ে বিচারকের গান শুনছেন দর্শক, প্রতিযোগী থেকে শুরু করে বিচারকেরাও। কালীপুজোর কথা মাথায় রেখে এই সপ্তাহে সঙ্গীতের মঞ্চে আয়োজন করা হয়েছিল 'ভক্তি আরাধনা'। সেই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবেই মঞ্চে শ্যামাসঙ্গীত পরিবেশন করেন অনুষ্ঠানের বিচারক কুমার শানু। প্রতিযোগীরাও মূলত ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন। আগামীকাল এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে।


সুপার সিঙ্গার এর মঞ্চে বিচারক হিসাবে রয়েছেন কুমার শানু। তিনি ছাড়াও সঙ্গীতের এই রিয়্যালিটি শো-এর বিচারক সোনু নিগম ও কৌশিকী চক্রবর্তী।


সম্প্রতি সুপার সিঙ্গারের মঞ্চে বাপ্পি লাহিড়ী স্পেশাল এপিসোড-এর আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই এসে কুমার শানু শুনিয়েছিলেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। সঙ্গীতশিল্পী বলেছিলেন, 'বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে গান রেকর্ডিং। যথাসময়ে স্টুডিওতে হাজির হয়েছি আমি। ১০ মিনিটের মধ্যেই বাপ্পিদা চলে এলেন। এসেই কলাকুশলীদের প্রশন করলেন, ট্র্যাক তৈরি আছে? তাঁরা উত্তর দিল, কেবল মুখরাটুকুই তাঁদের দিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। তাই সেটুকুর ট্রাক তৈরি হয়েছে। আমি তো শুনে অবাক। গান গাইতে এসেছি অথচ গানই তৈরি নেই! আমি বললাম, বাপ্পিদা, গান তৈরি হলে আমি আসব না হয়। সেটা ওনাকে বলাতে বাপ্পিদা বললেন, 'না শানু, তুই গেলে তোকে আর পাওয়া যাবে না। আমায় ১০ মিনিট দে। ওখানে বসে সত্যিই ১০ মিনিটে উনি অন্তরা বানিয়ে ফেললেন। তারপর একটা কর্ডের ওপর গেয়ে গানটা রেকর্ড করে দিলেন। তারপর আমায় গান শেখাতে শুরু করলেন। এইভাবেই কাজ করতেন বাপ্পি লাহিড়ী।'


অন্যদিকে এই প্রথম কোনও বাংলা রিয়্যালিটি শোতে বিচারকের ভূমিকা পালন করছেন সোনু নিগম। ধীরে ধীরে বাংলা বুঝতে শিখছেন সোনু। যীশু বলেছিলেন, 'একদিন শ্যুটিং চলার সময় আমায় সোনুজীর স্ত্রী এসে বলেছিলেন, 'আমি ওকে কখনও এত বাংলা বলতে শুনিনি''। হাসতে হাসতে শানু যোগ করলেন, প্রথম ২ দিন নাকি সেটে চুপচাপ ছিলেন সোনু। বোঝার চেষ্টা করছিলেন সবাই কী বলছে। তারপর ধীরে ধীরে নিজেই বুঝতে পারছেন। আর কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে শানুর থেকেই মানে জেনে নিচ্ছেন।