হিন্দোল দে, সমীরণ পাল, কলকাতা : গুন গুন করতে করতে সরগম। অচেনা এক শিল্পীর কণ্ঠ শুনে মুগ্ধ হন খোদ সুরসম্রাজ্ঞী ( Lata Mangeshkar) । নিজের ট্যুইটার পেজে সেই সরগম আপলোড করে বঙ্গতনয়াকে আশীর্বাদ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। কিংবদন্তীর শুভেচ্ছাবার্তা পান ইন্ডিয়ান আইডল খ্যাত বনগাঁর এক শিল্পীও।
প্রায় দেড় বছর আগের কথা। বনগাঁর বাঙালি কন্যার গান শুনে মুগ্ধ হন সুরসম্রাজ্ঞী। তিনি বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবেননি, সেই পোস্ট কোনও দিন শেয়ার করবেন ভারতীয় সঙ্গীতের ধ্রুবতারা। লতা মঙ্গেশকর টুইটারে শেয়ার করেছিলেন সেই ভিডিও । লিখেছিলেন, “এই ভিডিওটি একজন পাঠালেন। মেয়াটি মোৎজার্টের সিম্ফনি খুব সুন্দরভাবে সরগমের মাধ্যমে উপস্থাপনা করেছে। আমার আশীর্বাদ রইল। ও যেন ভাল সঙ্গীতশিল্পী হয়”।
যাঁকে দেখে গানের প্রতি ভালবাসা জন্মেছিল সমদীপ্তা মুখোপাধ্যায়ের, সেই লতা মঙ্গাশকরের কীছ থেকে পেয়েছিলেন আশীর্বাদ। তাঁর চলে যাওয়া নাড়িয়ে দিয়েছে ২ হাজার কিলোমিটার দূরের সেই বঙ্গতনয়াকে। সুরসম্রাজ্ঞীর সঙ্গে বেহালার সমদীপ্তা মুখোপাধ্যায়ের আলাপ হয়নি কখনও। সামনাসামনি দেখা হওয়ার সুযোগও মেলেনি। তা সত্ত্বেও অচেনা এই সঙ্গীতশিল্পীকে আশীর্বাদ করেছিলেন কিংবদন্তী।
বছর দেড়েক আগে ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে-তে নিজের সরগম সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করেন সমদীপ্তা। ১২২ সেকেন্ডের ভিডিওয় ছিল মোজার্টের সুর মূর্ছনা। মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। তা পৌঁছয় লতা মঙ্গেশকরের কাছে। তাঁর ট্যুইটার পেজে সমদীপ্তার সরগম আপলোড করেন। আগামী দিনের জন্য আশীর্বাদ জানান। সমদীপ্তার কথায় , 'উনি ট্যুইট করেন, আমার গান ভাল লেগেছে। বলেন ভবিষ্যতে আরও বড় শিল্পী হতে পারি। মনে হয়েছিল এটাই জীবনের সেরা উপহার।'
আধুনিক থেকে ছায়াছবি---এই বাংলা তাঁর যেন সেকেন্ড হোম। সুর সাধকের কাছে তাই যেন বাঙালিরা বাড়তি ভালবাস পান। এই যেমন ইন্ডিয়ান আইডল খ্যাত অরুণিতা কাঞ্জিলাল। বনগাঁর এই শিল্পীর গানে এতটাই মুগ্ধ হন যে, নিজের ছবিতে সই করে বঙ্গতনয়ার কাছে পাঠান লতা। অরুণিতা এখন দিল্লিতে। তাঁর মা সর্বাণী কাঞ্জিলাল জানালেন, লতা তাঁর মেয়েকে বলেছিলেন , তোমার গান ভাল লাগছে, নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি। দুটি ছবিতে সই করে পাঠিয়ে দেন।
মাঘপঞ্চমীর পরের দিনে সরস্বতী বিসর্জন। এবার আকাশ প্রদীপ হয়ে জ্বলবেন তিনি। তিনি যেন জীবনের রসদ। এক লহমায় সব যন্ত্রণা, অভিমান ভুলিয়ে দেয় তাঁর কণ্ঠসুধা। রবি সকালে থেমে গেল সেই সুর !