নয়াদিল্লি: রবিবার মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে (Breach Candy Hospital) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar passed away)। শিল্পীর চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার প্রতীত সামদানি (Dr Pratit Samdani)। লতা জির মৃত্য়ুর পর ডাক্তার জানান যে জীবনের শেষ লগ্নে এসে উপস্থিত বুঝেও মুখ থেকে হাসি সরেনি তাঁর।
গত তিন বছর ধরে সুরসম্রাজ্ঞীর চিকিৎসা করছেন ডা. সামদানি। তিনি বলেন, 'যখনই লতা জির শরীর খারাপ হত, আমিই ওঁর চিকিৎসা করতাম, কিন্তু এইবারে তাঁর স্বাস্থ্য দিনে দিনে খারাপ হচ্ছিল। আমরা যদিও চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলাম না।'
প্রতীত সামদানি জানান যে যখনই হাসপাতালে ভর্তি হতেন গায়িকা, তিনি বলতেন, 'সকলকে সমানভাবে নজর দিতে হবে।' এছাড়াও, 'যখন যা ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন হত সব করাতে রাজি থাকতেন, কখনও না বলতেন না।'
লতা মঙ্গেশকরের সারল্যের কথা মনে করে ডাক্তার সামদানি বলেন, 'তাঁর হাসি আমি আজীবন মনে রাখব। এমনকী জীবনের শেষ মুহূর্তে এসেও তাঁর মুখে হাসি লেগে ছিল। গত কয়েক বছর ধরেই তাঁর শরীরের অবস্থা বিশেষ ভাল ছিল না, ফলে তিনি বিশেষ কারও সঙ্গে দেখাও করতে পারছিলেন না।'
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar Demise: সুরসম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পাকিস্তান, শ্রদ্ধাজ্ঞাপন একাধিক তারকার
'যখন থেকে আমি তাঁর চিকিৎসা করছি, লতা দিদি খুব কম কথা বলতেন, বেশি কথা বলতেন না। যাই হোক, ঈশ্বরের তাঁর জন্য ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল এবং তিনি আমাদের সকলকে চিরতরে ছেড়ে চলে গেলেন,' বলছেন প্রতীত সামদানি।
কোকিল কণ্ঠী ৯২ বছর বয়সে রবিবার প্রয়াত হন। লতা জি ৮ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি করোনা এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।
লতা ছিলেন পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর এবং সেবন্তি মঙ্গেশকরের কন্যা। তিনি ছোট থেকেই সঙ্গীতের আবহেই বড় হতে থাকেন কারণ তাঁর বাবা একজন সুপরিচিত মরাঠি সঙ্গীতশিল্পী এবং থিয়েটার শিল্পী ছিলেন। বাবাই ছিলেন তাঁর প্রথম গৃহশিক্ষক। এরপরে লতা তাঁর বাবার বেশ কয়েকটি নাটকে শিশু শিল্পী হিসেবে আবির্ভূত হন।
মরাঠি ছবি 'গাজাভাউ'-এর জন্য "মাতা এক সপুত কি দুনিয়া বদল দে তু" গান মুক্তি পায় ১৯৪৩ সালে। এটিই লতা মঙ্গেশকরের প্রথম হিন্দি রেকর্ড করা গান। পরে, তিনি অনিল বিশ্বাস, শঙ্কর জয়কিশান, নওশাদ আলি এবং এসডি বর্মন সহ হিন্দি সঙ্গীত জগতের অজস্র জনপ্রিয় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেন।