কলকাতা: তাঁর কাছে বয়স সত্যিই সংখ্যামাত্র। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও, তিনি যেন একইরকম ঝলমলে, উজ্জ্বল। মাধুরী দিক্ষীত (Madhuri Dixit)। আজ তাঁর জন্মদিন। রুপোলি পর্দায় তিনি রাজত্ব করেছেন বছরের পর বছর। এখনও তিনি পর্দায় আসলে কেড়ে নিতে পারেন সব স্পটলাইট। আজ, জেনে নেওয়া যাক মাধুরী দিক্ষীতকে নিয়ে কিছু অজানা তথ্য যা আপনাকে অবাক করবেই।
অভিনেত্রী নন, মাধুরী দিক্ষীত হতে চেয়েছিলেন একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট। সেই লক্ষ্যে মাধুরী মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়াশোনাও করেছিলেন। ডিগ্রিও রয়েছে মাধুরীর।তবে তাঁর কপালে যে ছিল রুপোলি পর্দায় ঝলমল করে ওঠা, তা বোধহয় তিনি জানতেন না নিজেও। ১০৮৪ সালে 'অবোধ' ছবিটি থেকে ঘুরে যায় মাধুরীর কেরিয়ারের মোড়। বলিউডে পা রাখেন মাধুরী, শুরু হয় তাঁর অভিনয় জীবন। এরপরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। মাধুরী হল একমাত্র অভিনেত্রী যিনি মোট ১৪ বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ বার তিনি পুরস্কারও জিতেছেন। ব্ল্যাক লেডি এসেছে ঘরে।
কেবল অভিনেতা নন, মাধুরী একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পী। পন্ডিত বির্জু মহারাজের কাছে নাচ শিখেছেন তিনি। কত্থক ডান্স ফর্মে মাধুরী ছিলেন দুরন্ত। একসময় বলা হত, বলিউডে তাঁর চেয়ে সেরা নৃত্যশিল্পী আর কেউ নেই। তবে কেবল নাচের ভঙ্গিমা নয়, দর্শকদের মুগ্ধ করত নাচের সময় মাধুরীর অভিব্যক্তি। দেবদাস (Devdas) ছবিতে মাধুরী ৩০ কেজির একটি কস্টিউম পরে সাবলীলভাবে নাচ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর নাচ দেখে দর্শক বুঝতেই পারেননি, এত ভারি পোশাক পরে রয়েছেন তিনি।
মাধুরীর অনুরাগীরা রয়েছেন গোটা পৃথিবী জুড়েই। আর তাঁদের নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ঘটনাও। একবার মাধুরীর এক অনুরাগী সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, মাধুরীর জন্মদিনকে যেন জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তা অবশ্য বাস্তবায়িত হননি। মাধুরীর এক অনুরাগী একবার তাঁকে একটি ক্যালেন্ডারও তৈরি করে দিয়েছিলেন যেখানে বছর শুরু হচ্ছে মাধুরী দিক্ষীতের জন্মদিনের দিন থেকে।
মাধুরী দিক্ষীতকে এবিপি লাইভ বাংলার তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা। অভিনেত্রী এমনই ঝলমলে থাকুন চিরকাল।
আরও পড়ুন: Tonni Laha Roy: মাতৃহারা অভিনেত্রী তন্বী, আবেগঘন খোলা চিঠিতে চোখ ভিজল অনুরাগীদের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।