পানাজি: মহম্মদ আলি জিন্নাকে ওই পদে চেয়েছিলেন মহাত্মা গাঁধী, কিন্তু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা ছিল জওহরলাল নেহরুর। বললেন দলাই লামা। নেহরুর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে ‘আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিব্বতী ধর্মগুরু। এমনকী জিন্নাকে প্রধানমন্ত্রী করার মহাত্মা গাঁধীর ইচ্ছা পূর্ণ হলে ভারত বিভাজন ঘটত না বলেও অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
গোয়ার সাঙ্কালিমে গোয়া ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের এক অনুষ্ঠানে দলাই তাঁর ভাষণে এ কথা বলেছেন।
এক পড়ুয়ার সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার মতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সামন্ততন্ত্রের চেয়ে অনেক ভাল, কারণ সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কুক্ষীগত থাকে গুটিকয়েক লোকের আগে, যেটা আরও বিপজ্জনক। ভারতের দিকে তাকাও। আমার মনে হয়, মহাত্মা গাঁধীর খুব ইচ্ছে ছিল প্রধানমন্ত্রী পদ জিন্নাকে দেওয়ার। কিন্তু পন্ডিত নেহরু মানতে চাননি। আমার মতে, পন্ডিত নেহরু খানিকটা আত্মকেন্দ্রিক ছিলেন, চেয়েছিলেন, তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন। মহাত্মা গাঁধীর ভাবনা মতো কাজ হলে ভারত, পাকিস্তান হয়তো ঐক্যবদ্ধ থাকত। খুব ভাল করে জানি, পন্ডিত নেহরু ছিলেন ভীষণ অভিজ্ঞ, বিদগ্ধ মানুষ, কিন্তু ওঁদেরও কখনও সখনও ভুল হয়।
জীবনে সবচেয়ে ভয় পেয়েছিলেন কখন, প্রশ্ন করা হলে দলাই লামা তিব্বত থেকে অনুগামীদের নিয়ে পালিয়ে আসা দিনের কথা স্মরণ করেন। বলেন, ১৯৫৯ এর ১৭ মার্চের রাতে আমাদের পালাতে হয়।
এও বলেন, ১৬ বছর বয়সে আমার স্বাধীনতা চলে যায়। ২৪ বছর আমি দেশহীন হই। ১৭ বছর ধরে অনেক কষ্ট, যন্ত্রণা পেয়েছি। অনেক ধ্বংস হয়েছে দেশে। তবে আমরা জেদ ধরে রেখেছি।