কলকাতা: এ যেন গলি থেকে রাজপথের গল্প। কলকাতার মাটি থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর সফর। আর তারপরে আরব সাগরের তীরে ধীরে ধীরে স্বপ্নকে ছুঁয়ে ফেলার গল্প। 'দাদাসাহেব ফালকে' পুরস্কারের খবর শুনে, আবেগে গলা বুজে এসেছিল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty)। প্রথমটা তিনি যেন কথাই বলতে পারেননি, বাকরুদ্ধ হয়েছিলেন। পরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি মুখ খুললেন নিজের কেরিয়ার নিয়ে, ফেলে আসা সফর নিয়ে। শোনালেন কত অজানা গল্প, কথায় কথায় উঠে এল বিজেপি প্রসঙ্গও।
সদ্য হাতে চোট পেয়েছেন মিঠুন। এখনও তাঁর হাতে ব্যান্ডেজ করা, সেই নিয়েই ছবির প্রচার সারছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে মিঠুন বলেন, 'সিনেমার ঘটনা অনুযায়ী আমার চরিত্রের হাত ভেঙে যাবে। আর সত্যি সত্যিই আমার হাত ভাঙল। সেই সুযোগে সত্যিকরের ভাঙা হাত নিয়েই শ্যুটিংটা সেরে ফেললাম। এখনও আমি পেন-কিলার খেয়ে শ্যুটিং করতে পারি। তবে এই যে ভাঙা হাত নিয়ে শ্যুটিং করেছি, এর কৃতিত্ব আমার চিকিৎসকের।' যেইদিন মিঠুন চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেওয়া হবে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, সেইদিনই মুক্তি পাবে মিঠুনের নতুন ছবি 'শাস্ত্রী'। এই বিষয়ে তিনি বলছেন, 'শাস্ত্রী একেবারে অন্য ধরণের একটা ছবি। আমি এখন বেছে বেছে অন্যধরণের ছবিতেই কাজ করার চেষ্টা করছি। এবার দেখতে হবে মানুষ ছবিটাকে পছন্দ করেন কি না।'
নিজের জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার সফরকেও ফিরে দেখলেন মিঠুন। বললেন, 'আমি জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরে একজন সাংবাদিক এসেছিলেন আমায় খুঁজতে খুঁজতে। আমি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি, আমার সাক্ষাৎকার নেবেন নাকি। আমি তখন তাঁকে বলেছিলাম, 'আমি সাক্ষাৎকার দেব, যদি আমায় খেতে দেন। কারণ আমি এখনও খাবার খাইনি'। মিঠুন আরও বলেন, 'এমন অনেক ছেলে-মেয়ে রয়েছেন যাঁদের আর্থিক সামর্থ নেই। কিন্তু আশা ছাড়লে চলবে না। আমার কি ছিল.. কিচ্ছু না। কিন্তু আমি যখন পেরেছি, আপনিও পারবেন।'
এদিন মিঠুনের কথায় উঠে আসে আরজি কর প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, 'বিচার পেতেই হবে। এই ঘটনার যদি বিচার না হয়, তাহলে এটা একটা অভ্যাস হয়ে যাবে। মহিলাদের সুরক্ষা থাকবে না। এটা হওয়া উচিত নয়। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে.. এই ঘটনার বিচার যেন পাই আমরা।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।