কলকাতা: সেফ আলি খানের (Saif Ali Khan)-এর ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত করতে এবার কলকাতা এল মুম্বই পুলিশ। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল সেফের হামলাকারী। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শরিফুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। আর এবার, শরিফুলকে নিয়ে আরও তথ্য খুঁজে পেতে, হামলার সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে বা আদৌ যুক্ত রয়েছে কি না সেই সম্পর্কে জানতে কলকাতায় এল মুম্বই পুলিশ। 


জানা যাচ্ছে, কোথা থেকে সিম কিনেছিল হামলাকারী? কারা সাহায্য় করেছিল? উত্তরের খোঁজে কলকাতায় এল মুম্বই পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার শরিফুল ইসলামের সঙ্গে মেলেনি সেফের বাড়িতে পাওয়া ১৯টি আঙুলের চাপের মধ্যে একটিও। পুলিশ সন্দেহ করছে, এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে আরও অন্য কেউ। আর এই তথ্য জানতেই কলকাতা এসেছে মুম্বই পুলিশ। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মুম্বই পুলিশ। মুম্বই পুলিশের কয়েকজন আজ কলকাতা এসে পৌঁছেছেন। আগামী কয়েকদিন তাঁরা কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় তদন্ত করে দেখবে। 


অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, সেফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় সদগুরু শরণ থেকে পাওয়া গিয়েছে ১৯টি আঙুলের ছাপ। তবে সেই ১৯টি আঙুলের ছাপের মধ্যে একটিও মেলেনি ধৃত অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। সিআইডি মুম্বই পুলিশকে নেতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে। ইতিমধ্যেই শরিফুলের ১০টি  আঙুলের চাপ নিয়ে পাঠানো হয়েছে সিআইডির অফিসে। পুণের সিআইডি অফিস জানিয়েছে, শরিফুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কাজে লাগেনি। মেলেনি ওই ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্টের সঙ্গে। তাহলে কী শরিফুলের বাবার আশঙ্কাই সঠিক? 


কী বলেছিলেন শরিফুলের বাবা? শরিফুল গ্রেফতার হওয়ার পরে, বাংলাদেশ থেকে তার বাবা জানিয়েছিলেন, যে ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটি তাঁর ছেলে, শরিফুল। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে যে ছেলেটিকে দেখা যাচ্ছে, সে শরিফুল নয়, অন্য কেউ। সেফ আলি খানের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে এক ব্যক্তিকে। তার চুল বড়, মুখের গঠনও আলাদা। শরিফুলের বাবার দাবি, তার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজের ব্যক্তি আলাদা ও সেই হামলা চালিয়েছিল সেফ আলি খানের ওপর। এখন দেখার আরও তদন্ত করে কী কী বেরোয়।


আরও পড়ুন: Saif Ali Khan: সেফের বাড়িতে পাওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিল নেই শরিফুলের নমুনার! অভিযুক্ত কি আদৌ দোষী?