কলকাতা: সেফ আলি খানের (Saif Ali Khan) ওপর হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। সেফ আলি খান ও করিনা কপূরের (Kareena Kapoor Khan)-এর বাড়ি সদগুরু শরণ থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপ মিলল না এই ঘটনায় ধৃত অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। আর এরপরে প্রশ্ন উঠছে, আদৌ এই ঘটনায় শরিফুল দোষী তো? নাকি তাকে ফাঁসানো হচ্ছে? এই ঘটনার সঙ্গে কি যুক্ত রয়েছেন অন্য কোনও ব্যক্তি?
পুলিশ সূত্রে খবর, সেফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় সদগুরু শরণ থেকে পাওয়া গিয়েছে ১৯টি আঙুলের ছাপ। তবে সেই ১৯টি আঙুলের ছাপের মধ্যে একটিও মেলেনি ধৃত অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। সিআইডি মুম্বই পুলিশকে নেতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে। ইতিমধ্যেই শরিফুলের ১০টি আঙুলের চাপ নিয়ে পাঠানো হয়েছে সিআইডির অফিসে। পুণের সিআইডি অফিস জানিয়েছে, শরিফুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কাজে লাগেনি। মেলেনি ওই ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্টের সঙ্গে। তাহলে কী শরিফুলের বাবার আশঙ্কাই সঠিক?
কী বলেছিলেন শরিফুলের বাবা? শরিফুল গ্রেফতার হওয়ার পরে, বাংলাদেশ থেকে তার বাবা জানিয়েছিলেন, যে ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটি তাঁর ছেলে, শরিফুল। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে যে ছেলেটিকে দেখা যাচ্ছে, সে শরিফুল নয়, অন্য কেউ। সেফ আলি খানের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে এক ব্যক্তিকে। তার চুল বড়, মুখের গঠনও আলাদা। শরিফুলের বাবার দাবি, তার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজের ব্যক্তি আলাদা ও সেই হামলা চালিয়েছিল সেফ আলি খানের ওপর।
তবে কী শরিফুলের বাবার কথাই সত্যি? অন্যদিকে এই ঘটনায় শরিফুল ও সিসিটিভি ফুটেজে ছবি পাওয়া ব্যক্তির মুখের অমিল নিয়ে যাবতীয় প্রশ্ন দূর করতেই একটি বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। ডিজিট্যাল ফেস রেকগনিশন টেস্ট (digital facial recognition test)-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ধৃত শরিফুলের আইনজীবী জানাচ্ছেন, ' ধৃতের শরীরী ভাষা, ত্বকের রঙের সঙ্গে ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যক্তির শরীরী ভাষা, ত্বকের রঙ মেলে না। আমার ফরেন্সিক টিম থেকে আমায় জানানো হয়েছে, ছবি আর ধৃত শরিফুলের চেহারা মিলছে না।' ধৃত শরিফুলের মা বলছেন, 'আমার ছেলে আমার পরিবারের জন্য অনেক করে। ওর পকেটে যদি ১ টাকাও থাকে, তাহলে ও বাপ-মার জন্য মরে। ও গাড়ি চালিয়েছে... অনেক কাজ করেছে। খুব কষ্ট করেই এই সংসারে টাকাপয়সা দেয়।'
আরও পড়ুন: Shiboprosad-Nandita: প্রজাতন্ত্র দিবসে 'রক্তবীজ'-এর সিক্যুয়াল ঘোষণা করলেন শিবপ্রসাদ-নন্দিতা