মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করলেন সঙ্গীত পরিচালক তথা সুরকার সাজিদ খান। সুশান্ত তাঁদের ছোট ভাইয়ের মতো ছিলেন, সুশান্তের দিদির উদ্দেশে এ কথা বলেছেন তিনি।
সুশান্তের মৃত্যুর পর ২ মাস পেরিয়ে গেলেও রহস্য উদঘাটন হয়নি। মুম্বই বনাম বিহার পুলিশের পারষ্পরিক দোষারোপ, ইডির জেরা এই বৃত্তে আটকে তদন্তের গতি। সুশান্ত মৃত্যুতে ন্যয় বিচারের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন মানুষজন। ৯ পৃষ্ঠার বিবৃতি দিয়েছে তাঁর পরিবারও। যেখানে স্পষ্ট প্রয়াত অভিনেতার পরিবার কতটা বিধ্বস্ত। এরই মধ্যে সুশান্তের দিদিকে বার্তা দিলেন মুম্বইয়ের সঙ্গীত পরিচালক সাজিদ খান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আমি ওকে খুব পছন্দ করতাম। ও যেখান থেকে এসেছিল, সেই নিরিখে সুশান্ত অনেক কিছু অর্জন করেছিল। ও আমাদের( সাজিদ-ওয়াজিদ) একজন ছোট ভাইয়ের মতো ছিল। সদা হাস্যময়, প্রাণবন্ত। ওর চোখ বলত যে ও আমার প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেয়। একবারই আমার সঙ্গে ওর মুখোমুখি দেখা হয়েছিল। আমার হাতের উপর হাত দুখানি রেখেছিল সুশান্ত। খুব খারাপ লাগছে ওর কথা ভেবে। ওর বোনেদের বলছি, আমিও আপনাদের একটা ভাই। একা ভাববেন না নিজেদের। আমরা আছি।
তাঁর সঙ্গে কাজ করতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাজিদ। গানের মাধ্যমে ওর (সুশান্ত) প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ইচ্ছে রয়েছে সুরকারের। সাজিদের কথায়, “ মানুষ হয়তো ভাববেন আজ প্রচারের উদ্দেশ্যে ওর জন্য গান লিখতে চাইছি। কিন্তু সেটা ঠিক নয়, আমি চাই না মানুষ এমন ভাবুক।”
সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত শেষ করতে মুম্বই পুলিশের কেন এত সময় লাগছে সে প্রশ্নও তুলেছেন সাজিদ খান। মুম্বই পুলিশের প্রশংসা করলেও সঙ্গীত পরিচালক সাজিদ জানিয়েছেন, মু্ম্বই পুলিশের জন্য তিনি আমি গর্বিত। মুম্বই পুলিশকে সুপারম্যান মনে করেন বহু হিট গানের স্র্ষ্টা। কিন্তু সেই সুপারম্যানের সুশান্ত মৃত্যু-রহস্য সমাধান করতে কেন এত সময় লাগছে ভেবে তিনি বিস্মিত।