নয়াদিল্লি: তেলুগু রাজনীতিক কোন্ডা সুরেখার (Konda Surekha) বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিলেন দক্ষিণী তারকা নাগার্জুন আক্কিনেনি (Nagarjuna Akkineni)। বুধবার কে সুরেখা মন্তব্য করেন যে অপর রাজনৈতিক নেতা কেটিআর-এর (KTR) ইন্ধনেই বিয়ে ভাঙে নার্গাজুনের ছেলে নাগা চৈতন্য (Naga Chaitanya) ও সামান্থা রুথ প্রভুর (Samantha Ruth Prabhu)। এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। তাঁর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে কটাক্ষ করেন নাগার্জুন, নাগা চৈতন্য, অমলা আক্কিনেনি ও অখিল আক্কিনেনি সমস্ত দাবি উড়িয়েছেন। এমনকী নাগা চৈতন্যের প্রাক্তন স্ত্রী, তারকা অভিনেত্রী সামান্থাও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এবার আইনি পথ বেছে নিলেন নাগার্জুন।
রাজনৈতিক নেতা কোন্ডা সুরেখার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলেন নাগার্জুন
ছেলের বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে 'ভুল মন্তব্য', মন্ত্রী কোন্ডা সুরেখার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ তারকা অভিনেতা নাগার্জুনের। নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভুর বৈবাহিক সম্পর্কে ছেদ পড়ার জন্য অপর রাজনৈতিক নেতা কেটিআরের নাম টানেন কে সুরেখা। তাতেই সমালোচনার ঝড়। ইতিমধ্যেই কোন্ডা সুরেখার বিরুদ্ধে আইনি নোটিস জারি হয়েছে কেটিআরের অভিযোগের ভিত্তিতে। কোন্ডা সুরেখাকে তাঁর মন্তব্য ফিরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। তিনি তাঁর কথা ফিরিয়ে নিলেও সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ১৮ সূত্রে খবর, আক্কিনেনি পরিবারও এবার আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছেন কোন্ডা সুরেখার বিরুদ্ধে। তেলুগু ফিল্ম চেম্বারের পক্ষ থেকে একটি আলাদা নোটিস জারি করা হবে বলেও খবর।
নাগার্জুন এই খবরে সিলমোহর দিয়ে জানিয়েছেন, 'আমি এখন ভাইজ্যাগে। আমি হায়দরাবাদ ফিরছি পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য।' তিনি আরও বলেন, 'হ্যাঁ, অবশ্যই। একশ শতাংশ। এই বিষয়টা এভাবে ছেড়ে দেওয়া যায় না। একেবারেই না। আমি আইনজীবীদের নিয়েই যাচ্ছি দ্রুত।'
কোন্ডা সুরেখা ঠিক কী বলেন?
কে সুরেখা দাবি করেন, এন-কনভেনশন সেন্টার না ভাঙার বদলে সামান্থাকে পাঠাতে বলেন কেটিআর। তাঁর দাবি, 'কেটিআরের কাছে যাওয়ার জন্য সামান্থাকে জোর করেন নাগার্জুন, কিন্তু তিনি রাজি হননি। এরপরেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।' এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ধিক্কার জানিয়েছেন তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তাবড় তারকারা।
নাগার্জুনের মালিকানাধীন এন-কনভেনশন সেন্টারটি অগাস্টে হায়দরাবাদ ডিজাস্টার রেসপন্স অ্যান্ড অ্যাসেট মনিটরিং অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি (HYDRAA) দ্বারা লেকের স্থান দখলের অভিযোগে আংশিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। যদিও নাগার্জুন সেই দিনই হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ পেয়েছিলেন। তবে এখন সুরেখার মন্তব্যে ফের সমালোচনার ঝড়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।