কলকাতা: ৬৭তম জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হলেন একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী ও সিনেমা। 'মণিকর্নিকা' ও 'পঙ্গা' ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় পুরস্কার পেলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। সেরা সিনেমার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেল সুশান্ত সিং রাজপুতের 'ছিছোড়ে'। কেসরি ছবির 'তেরি মিট্টি' গানটির জন্য সেরা গায়কের জাতীয় পুরস্কার পেলেন বি প্রাক।  মারাঠি গান 'বারদো' সেরা গায়িকার পুরষ্কার পেলেন সাবানি রবীন্দ্র।


এবারে সেরা ছবির তালিকায় জায়গা করে নিল বাংলাও ছবিও। সেরা বাংলা ছবির জন্য পুরস্কৃত হল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'গুমনামি'। সেরা অ্যাজপ্ডেট চিত্রনাট্যের পুরস্কারও জিতে নিয়েছে 'গুমনামি'। সেরা চিত্র সমালোচক সোহিনী চট্টোপাধ্যায়।


সেরা ফিচার ফিল্মের পুরস্কার জিতে নিয়েছে মালায়ালম ছবি Marakkar Arabikkadalinte Simham। সেরা পার্শ্বচরিত্রের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন পল্লবী যোশী। ‘ভোসলে’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার খেতাব পেলেন মনোজ বাজপেয়ী। তামিল ছবি ‘অসুরণ’-এর জন্য একই সম্মান পেয়েছেন ধনুশ। সবচেয়ে ফিল্ম-ফ্রেন্ডলি শহরের শিরোপা পেল 'সিকিম'। সোশ্যাল ইস্যু ক্য়াটেগরিতে 'প্যাডম্যান' ছবির প্রযোজনা ও অভিনয়ের জন্য পুরষ্কার পেলেন অক্ষয়কুমার। 


সেরা এডিটিং ছবির শিরোপা জিতে নিয়েছে তেলুগু ছবি 'জার্সি।' সেরা সিনেমাটোগ্রাফির জন্য পুরষ্কৃত হল 'জালিকাট্টু'। হিন্দি ছবি 'বাহাত্তর হুরে'-র জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন সঞ্জয় পুরন সিং চৌহান।


'গুমনামি' ও 'জ্য়েষ্ঠপুত্র' ছবির মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দুই ছবিতে ৪টে জাতীয় পুরষ্কারের খবর শুনে খুশি তিনিও।  এবিপি লাইভকে প্রসেনজিৎ বলেন, 'আমি সত্যি খুব খুশি হয়েছি। এরকম একটা সময়ে আমাদের দুটি ছবি, জ্যেষ্ঠপুত্র ও গুমনামি ৪টি পুরস্কার এনেছে।  সেরা ছবি ও সেরা অ্যাডপটেড চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন সৃজিত। অন্যদিকে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় সেরা স্ক্রিনপ্লে অরিজিনালের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন। সেরা আবহসঙ্গীতের পুরস্কার জিতেছেন প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুটো ছবিতেই আমি অভিনয় করেছি। দুটোই আমার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। গুমনামি ছবির নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের চরিত্র আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর জ্যেষ্ঠপুত্র আমার, ঋত্বিকের আর কৌশিকের একসঙ্গে করা খুব ভালো একটা কাজ। আমি এই দুটো ছবির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারা আমার কাছে আশীর্বাদ। এটা বাংলা ছবির জয়।'