কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চলছে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি (Nawazuddin Siddiqui) ও স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি (Aaliya Siddiqui)-র মধ্যে। সম্প্রতি দুজনেই হাঁটতে চেয়েছেন মীমাংসার পথে। স্ত্রী ও তাঁর ভাইয়ের ওপর করা একাধিক মামলা তুলে নিয়েছেন নওয়াজ, অন্যদিকে আইনি লড়াই শেষ করতে চেয়েছেন আলিয়াও।


সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেছেন, 'আমার সন্তানেরা দুবাইয়ে থাকতে প্রস্তুত হয়েছে। সেটা বাধ্য় হয়ে নয়, আনন্দের সঙ্গেই। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে এখন দুবাইতে রয়েছি, কারণ ওদের পড়াশোনার ক্ষতি হতে দেওয়া যাবে না। আদালত বলেছে নওয়াজের সঙ্গে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে নিতে। নওয়াজ কথা দিয়েছে ও দুবাইতে সন্তানদের যাবতীয় খেয়াল রাখবে। আদালতের যাবতীয় শর্তে রাজি হয়েছে নওয়াজ আর তাই সন্তানদের নিয়ে দুবাই চলে এসেছি আমি।'


নওয়াজের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলিয়ার মন্তব্য, 'আমি বিচ্ছেদের কথাই বলেছিলাম, কিন্তু আদালত আমাদের বলেছে নিজেদের মধ্যে কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত নিতে। নওয়াজ এই মুহূর্তে সফর করছেন। ও একবার ফিরে এলে আমরা নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলব ও সুস্থভাবে বিচ্ছেদের পথেই হাঁটব। আর লড়াই চাইছি না। আপাতত যা যা সমস্যা ছিল সমস্তটাই মিটিয়ে ফেলেছে নওয়াজ। আমাদের সন্তানেরাও ভাল আছে।'


এর আগে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল দুবাইতে ফিরে গিয়ে পড়াশোনায় যোগ দেওয়া উচিত নওয়াজ আলিয়ার দুই সন্তান স্বরা ও ইয়ানিকে। কিন্তু সূত্রের খবর, সব ছেড়ে দুবাইতে ফিরতে চায়নি স্বরা। মুম্বইতে মায়ের সঙ্গেই থাকার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল সে। সম্প্রতি আলিয়াকে একটি 'সেটেলমেন্ট ড্রাফট' (settlement draft) পাঠিয়েছিলেন নওয়াজ। আলিয়ার অ্যাটর্নির কথায়, 'আমি সেটেলমেন্ট ড্রাফট পেয়েছি। এখন আমার মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমি আমার তরফ থেকে জানাচ্ছি, শিশুদের ভবিষ্যৎ ও ভাল থাকার কথা ভেবে আলিয়া ও নওয়াজের মধ্যে যা যা মিটমাট হওয়া সম্ভব তা করার চেষ্টা করব।' আর এর পরেই ওই মানহানির মামলা তুলে নিয়েছেন নওয়াজ। সন্তানদের দেখভাল নিয়েও একটি সিদ্ধান্তে আসতে চান তাঁরা।


কাজের ক্ষেত্রে, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির আগামী ছবি 'হাড্ডি'র (Haddi) প্রথম লুক প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছিল সিনেপ্রেমীদের মধ্যে।  এক সাক্ষাৎকারে নওয়াজ তাঁর নতুন চরিত্র নিয়ে বলেছিলেন, 'এই ছবিতে আমি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করব। একজন মহিলার আর একজন রূপান্তরকামীর। দুটো একেবারে আলাদা রকমের চরিত্র। অক্ষতের কাছে স্ক্রিপ্টটা ছিল এবং এই ছবিটা প্রায় ৪ বছর ধরে বানাতে চেয়েছিল ও। "একে ভার্সাস একে" ও "সেক্রেড গেমস"-এ দ্বিতীয় ইউনিট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছে অক্ষত। অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে যখন কাজ করে তখন থেকে চিনি আমি ওকে। এবার অবশেষে এই ভেঞ্চারটা সফল হচ্ছে।'