মুম্বই: স্ত্রীর সঙ্গে বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রতিদিন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কখনও অভিনেতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন স্ত্রী আলিয়া। কখনও আবার অভিনেতার পরিবার পুত্রবধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। এবার স্ত্রী আলিয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। তাঁর আইনজীবী একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন যে, প্রথম স্বামীর সঙ্গেই এখনও বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি আলিয়ার। অর্থাত, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির স্ত্রী এখনও আইনত তাঁর প্রথম স্বামীর স্ত্রী-ই রয়েছেন।


স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির-


সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির আইনজীবী নাদিম সাফর জইদি একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন দিল্লিতে। সেখানে তিনি অভিনেতা এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে চলা মামলা নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, '২০০১ সালে আলিয়া ওরফে অঞ্জলি কুমারী, যিনি অষ্টম শ্রেণী ফেল, বিবাহ করেন বিনয় ভার্গব নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। এরপর তিনি মুম্বই চলে আসেন। আর মুম্বই এসে কখনও অঞ্জনা পাণ্ডে হয়ে যান। ২০১০ সালে তিনি অঞ্জনা আনন্দ হয়ে যান। এরপর তিনি ইসলাম ধর্মে নিজেকে বদলান এবং নাম বদলে জাইনাব হয়ে যান। এরপর তিনি অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে বিয়ে করেন। এবং ২০১১ সালে দুজনের সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিন্তু যেই নওয়াজউদ্দিনের কেরিয়ার রকেটের গতিতে উঠতে শুরু করে, তখন ফের তিনি আলিয়া হয়ে ফিরে আসেন। ২০২০ সালে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস পাঠান, যার কোনও ভিত্তিই নেই। কারণ, দুজনে আগেই আলাদা হয়ে গিয়েছেন।'


আরও পড়ুন - Raveena Tandon: 'অক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক কিংবা বাগদানের কথা ভুলে গিয়েছি'


অভিনেতার আইনজীবীর পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, আলিয়া তাঁর মিথ্যে জন্ম তারিখ জানিয়েছিল। তাই তাঁর মার্কশিট এবং পাসপোর্টের সঙ্গে কোনও মিল নেই। তিনি বলছেন, '২০০৮ - ২০০৯ সাল নাগাদ রাহুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে লভ ম্যারেজ হয় অঞ্জনার। তাঁরা মুম্বইয়ের গুরুগ্রামে একসঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। কিন্তু অঞ্জনার স্বপ্ন অনেক বড় ছিল। তাই তাঁরা একটি গ্যাং তৈরি করেন। যে গ্যাংয়ে অঞ্জনার বোন অর্চনা পাণ্ডেও ছিলেন। নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য মুম্বইতে থাকতেন অঞ্জনা। আর জবলপুরে তাঁর প্রথম স্বামী বিয়ে করেন অঞ্জনার বোনকে। অর্চনা তখনও তাঁর প্রথম স্বামী রাজকুমার শুক্লরই স্ত্রী ছিলেন আইনতভাবে। তাঁদের মধ্যে কোনও বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। বিনয় ভার্গব অঞ্জনাকে নিজের স্ত্রীর পরিচয় দিয়েছেন রেলওয়ের কাছে। যা পরবর্তীকালে তদন্তের সময়ে দেখা যায়। ওঁরা তিনজন রেলওয়ে ডিপার্টমেন্টকে ভুয়ো তথ্য দিয়ে ফায়দা তুলেছে। প্রতারণা করেছে। রেলের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে।'


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই আলিয়া সিদ্দিকির আইনজীবী নওয়াজউদ্দিন এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনে। তাঁদের অভিযোগ ছিল যে, আলিয়াকে শোওয়ার ঘর দেওয়া হচ্ছে না, খাবার দেওয়া হচ্ছে না। এবং বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্য যাবতীয় খারাপ কাজ করা হচ্ছে। লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।