মুম্বই: অগাস্টে প্রথম দেখা। অক্টোবরে পরিণয়। তিন মাসের মধ্যে পরিচয় থেকে সোজা বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়ার কাহিনী শেয়ার করলেন গায়িকা নেহা কক্কড়। একইসঙ্গে দাবি করলেন, প্রাক্তন বান্ধবীকে আনফলো করতে বাধ্য করায় রোহন একটা গানও লিখে ফেলে!


কপিল শর্মার শোয়ে মিঞাঁ-বিবি (রোহনপ্রীত-নেহা) দুজনেই এসেছিলেন। সেখানেই খোলসা করেছেন তাঁদের সম্পর্কের রহস্য। রোহনপ্রীতকে তাঁর সাম্প্রতিকতম গান "এক্স কলিং" সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, নেহা খোলসা করেন, প্রাক্তন বান্ধবীকে আনফলো করতে আমি ওকে (রোহন) বাধ্য করি। ও কি করল, ওই নিয়ে গান তৈরি করে ফেলল।


নেহা জানান, অগাস্টে ’ নেহু দ্য ভিয়া‘ গানের ভিডিয়ো শ্যুটিংয়ে তাঁর সঙ্গে প্রথম আলাপ রোহনপ্রীতের। প্রথমদিকে, টেক্সট মেসেজে কথা হতো দুজনের।


নেহা প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিয়ে করে "সেটলড" হতে চান। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রোহনপ্রীত। জানিয়েছিলেন, বিয়ে করে সেটল হওয়ার পক্ষে তাঁর বয়স নেহাতই কম।


নেহার সঙ্গে তাঁর বয়সের ব্যবধান সাত বছর। ২৫ বছর বয়সেই বিয়ে করার ইচ্ছে তাঁর নেই। এরপর অবশ্য রেগে গিয়ে কথাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন নেহা।


বিরহ মেনে নিতে পারেননি রোহনপ্রীত। একদিন নেহাকে মেসেজ করে রোহনপ্রীত বলেন, ’’ নেহু তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারছি না। চলো বিয়ে করা যাক।‘‘


এই টেক্সট পেয়ে নেহা ভেবেছিলেন হয়তো নেশার ঘোরে এমনটা বলছেন রোহনপ্রীত। ফলে খুব একটা আমল দেননি তিন। পরের দিন নেহার শ্যুটিং ছিল চণ্ডীগড়ে।


সেখানে নেহার সঙ্গে দেখা করতে চণ্ডীগড়ে পৌঁছন প্রেমিক রোহনপ্রীতও। সেখানেই বিয়ের কথা একপ্রকার পাকা করে ফেলেন। রোহনপ্রীত জানিয়েছিলেন, তিনি মায়ের সঙ্গে কথা বলেই নেহার কাছে এসেছেন।


সাত পাক-এর নেপথ্যের কাহিনীর পর বাকিটা নেহা-রোহনপ্রীত অনুরাগীদের সকলেরই প্রায় জানা। দিল্লির এক গুরুদ্বারে ২৪ অক্টোবর চার হাত এক হয়েছিল। সেদিন বিকেলে আবার হিন্দু মতেও বিয়ে সেরে ফেলেন। ২৬ অক্টোবর চণ্ডীগড়ে ছিল রিসেপসন।


কপিল শর্মার শোয়ে শুধু তাদের প্রেম-কাহিনী শেয়ার করেছেন তাই নয়। নেহা জানিয়েছেন গত কয়েকমাসে তৈরি হওয়া গানে ধরা পড়েছে তাঁদের সম্পর্কের রঙ। আবার লকডাউনের প্রভাবও তাঁরা অস্বীকার করতে পারেননি। "ডায়মন্ড দ্য ছাল্লা"--- লকডাউনে বিয়ের কাহিনী।