মুম্বই: ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি, জন্মগ্রহণ করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhash Chandra Bose)। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে (Indian Freedom Fight) তাঁর অবদান নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। তিনি তৈরি করেছিলেন 'আজাদ হিন্দ ফৌজ' (Azad Hind Fauj)। ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট তাইপেইয়ে হওয়ার বিমান দুর্ঘটনায় (Plane Crash) নেতাজির প্রাণহানি নিয়ে যদিও বিতর্ক বহু চর্চিত। তবে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার 'আরটিআই'-এ (RTI) নিশ্চিত করে যে ওই দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয় নেতাজির। 


প্রসঙ্গত, বহু বছর ধরে সুভাষচন্দ্র বসু দেশজুড়ে বিভিন্ন চিত্র পরিচালকের অন্যতম আগ্রহের বিষয়। তাঁর 'নায়ক'সুলভ জীবন, দর্শন, সাহসিকতা ও মৃত্যু ঘিরে রহস্য একাধিক চিত্রনাট্যের জন্ম দিয়েছে। আজ নেতাজির ১২৭তম জন্মবার্ষিকীতে ফিরে দেখা যাক তাঁর জীবন নিয়ে তৈরি কিছু ছবির তালিকা।


'সমাধি' (Samadhi)


এই ছবি যদিও সরাসরি নেতাজির জীবন নিয়ে তৈরি নয়। এই ছবির মুখ্য চরিত্র নেতাজির 'INA'-এর এক সেনাকে নিয়ে তৈরি। দেশের জন্য তাঁর প্রেম ও বোনকে উৎসর্গের গল্প বলে এই ছবি। রমেশ সায়গল পরিচালিত এই ছবি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগ ও নেতাজির রাজনৈতিক ভাবধারার কথা বলে। 


'সুভাষ চন্দ্র' (Subhas Chandra)


পীযুষ বসু পরিচালিত বাংলা এই ছবিতে দেখা যায় নেতাজির বিশ্বাস-ভাবধারা কীভাবে বিবর্তিত হয়েছিল এবং কীভাবে তিনি নিজেকে রাজনৈতিক সংস্কারক হিসেবে তৈরি করেছিলেন যে দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। এই ছবিতে নেতাজির ছোটবেলা, কলেজ জীবন, ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় তাঁর অংশগ্রহণ ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে।


'নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস: দ্য ফরগটেন হিরো' (Netaji Subhash Chandra Bose: The Forgotten Hero)


গৃহবন্দি অবস্থা থেকে নেতাজির পলায়ন, ভারত ত্যাগ ও INA গঠন, এই ছবির মূল বিষয়। ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে 'আজাদ হিন্দ বাহিনী'র কার্যকলাপ বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছে ছবিতে। শ্যাম বেনেগল পরিচালিত এই ছবিতে নেতাজির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সচিন খেড়কর। এছাড়া শিশির বসুর চরিত্রে যীশু সেনগুপ্ত ও খুলভূষণ খরবন্দা, দিব্যা দত্তকে দেখা যায়।


'আমি সুভাষ বলছি' (Ami Subhash Bolchi)


এই ছবি মূলত নানা ধরণের সামাজিক সমস্যা ও সেই সব সরাতে এক ব্যক্তির কঠিন লড়াইয়ের গল্প বলে। এক সাধারণ বাঙালি ব্যক্তির জীবনে সুভাষচন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। দেবব্রত বসুর চরিত্রে মিঠুন চক্রবর্তী অভিনয় করেছিলেন যিনি নিজের মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির জন্য লড়াই করেন। এই বাংলা ছবির পরিচালক ছিলেন মহেশ মঞ্জরেকর।


'রাগ দেশ' (Raag Desh)


নেতাজির তৈরি 'ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি'র ওপর ভিত্তি করে তৈরি ছবি। বার্মায় ভারতকে বাঁচানোর লড়াইয়ের গল্প বলে এই ছবি। তিগমাংশু ধুলিয়া পরিচালিত এই ছবি ১৯৪৫ সালের 'রেড ফোর্ট ট্রায়াল'-এর সিরিজকে পর্দায় স্থান দেয়।


'বোস: ডেড/অ্যালাইভ' (Bose: Dead/Alive)


৯ পর্বের একটি টেলিভিশন সিরিজ এটি। সুভাষচন্দ্র বসুর রহস্য মৃত্যুর নেপথ্যে তৈরি হওয়া একাধিক তত্ত্বের ভিত্তিতে এই সিরিজ তৈরি। অনুজ ধরের ২০১২ সালের বই 'ইন্ডিয়াজ বিগেস্ট কভার-আপ'-এর ভিত্তিতে এই ছবি তৈরি। একতা কপূর পরিচালিত এই সিরিজে নেতাজির চরিত্রে দেখা যায় রাজকুমার রাওকে।


আরও পড়ুন: 'Selfiee' Trailer Out: 'সেলফি' বিতর্কে জড়ালেন অক্ষয় কুমার ও ইমরান হাশমি?


'গুমনামি' (Gumnaami)


নেতাজির মৃত্যু তদন্তে ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত হওয়া 'মুখার্জি কমিশন শুনানি'র ওপর ভিত্তি করে তৈরি ছবি 'গুমনামি'। পরিচালনায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।


'দ্য ফরগটেন আর্মি' (The Forgotten Army)


১৯৯৯ সালে মুক্তি প্রাপ্ত কবীর খানের ৬ পর্বের ডকুমেন্টারি ফের ২০২০ সালে ওটিটিতে মুক্তি পায়। নেতাজির 'ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি'র সেনাবাহিনীর সংগ্রাম সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য সম্বলিত এই সিরিজ।