কলকাতা: সেফ আলি খানের (Saif Ali Khan) ওপর হামলায় ঘটনায় আটক এক সন্দেহভাজন। ঘটনায় ৩৩ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার আটক করা হয়েছে প্রথম সন্দেহভাজনকে। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মূল অভিযুক্তকে শেষবার দেখা গিয়েছে মুম্বইয়ের বান্দ্রা স্টেশনের কাছে। তবে এখনও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, যে সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা আততায়ীর মুখের মিল রয়েছে। তবে এই দুই ব্যক্তি একই কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বান্দ্রা থানায় এসে পৌঁছেছেন পুলিশের সিনিয়র অফিসাররা। চলছে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ। এখন দেখার যে এই সন্দেহভাজনের কাছ থেকে কী কী তথ্য উঠে আসে। 


জানা যাচ্ছে, সেফের বাড়িতে ছিল মূল্যবান কিছু অস্ত্র। পুলিশ মনে করছে, মূল্যবান এই অস্ত্রগুলির ওপরও আততায়ীর নজর থাকতে পারে। গতকালই এই হামলার সঙ্গে জড়িত ৩ সন্দেহভাজনকে বান্দ্রা থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। তবে সেই সময়ে কাউকে আটক করা হয়নি। এই ঘটনার সঙ্গে বাড়ির ভিতরেরই কোনও লোক জড়িত রয়েছে বলে আশঙ্কা করেছিল পুলিশ। আর সেই সন্দেহেই ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে আজ আটক করা হয়েছে এক সন্দেহভাজনকে। তবে এখনও কাউকে অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। 


সেফ আলি খান (Saif Ali Khan)-এর বাড়িতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। গোটা ঘটনাটাই কার্যত রহস্যাবৃত। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হন সেফ আলি খান। এদিন সবার অলক্ষ্যে তার বাড়িতে ঢুকে আসে এক আততায়ী। সঙ্গে অস্ত্র ছিল ওই আততায়ীর। ছোট ছেলের জেহ-র ন্যানির থেকে জানা যাচ্ছে, জেহ যে শৌচাগার ব্যবহার করে, সেখানেই লুকিয়ে ছিল আততায়ী। মাঝরাত্রে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় জেহ-র ন্যানির। সেই সময়ে সে দেখতে পায়, নিঃশব্দে একজন জেহ-র খাটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সময়েই চিৎকার করে ওঠেন জেহ-র ন্যানি। আততায়ী আঘাত করতে যায় তাঁকে। চিৎকার, চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন সেফ নিজেই। এরপরে ওই আততায়ী হামলা করে সেফের ওপর। ঘাড়ে, পিঠে ও হাতে গভীর আঘাত লাগে তাঁর। 


আরও পড়ুন: Saif Ali Khan: 'এক কোটি টাকা চেয়েছিল আততায়ী, জেহর বিছানার দিকে এগোতেই..', কী জানাচ্ছেন সেফের বাড়ির ন্যানি