এরপর সিবিএফসি প্রধান দাবি করেন, এবছরের মনোনয়নের তালিকার দিকে একবার নজর দিক সকলে। সেখানে আমির খান নেই তাঁর ‘দঙ্গল’ ছবির জন্যে। অক্ষয় কুমারের নামও মনোনীত করা হয়নি ‘এয়ারলিফ্ট’ বা ‘রুস্তম’-এর মতো ছবি বক্স অফিসকে উপহার দেওয়ার পরও। পহেলাজের দাবি, এই অভিনেতারা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের আয়োজন করা সপ্তাহন্তের ছুটিতে সামিল হননি। সেইজন্যেই মনোনয়ন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এধরনের বৈষম্য।
তারপর তিনি বলেন, তাঁর জানা বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন, যাঁরা নিউইয়র্কে অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই গিয়েছিলেন। কিন্তু সারা রাত পার্টি করে ক্লান্ত তারকারা অনুষ্ঠানে যেতেই পারেননি। পহেলাজ জানতে চেয়েছেন, এভাবে আইফাকে কেন্দ্র করে বিলাসবহুল পার্টি করার টাকা কে দিচ্ছে? তাঁর দাবি, অনুষ্ঠানের নামে ভারতের অর্থ ভাণ্ডারই নয়ছয় করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্যে তারকাদের পরিবার, তাঁদের বাবা-মা, বাচ্চা, আয়া, দেহরক্ষী, বন্ধু, বন্ধুর বন্ধু সকলে মিলে গেছেন নিউইয়র্কে । নিহালানির দাবি, তিনি নাকি শুনেছেন তারকাদের শপিংয়ের টাকাও দেওয়া হয় আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে।
তারপরই আইফা-র আয়োজকদের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগে সেন্সর বোর্ড প্রধান বলেন, আইফা ভারতীয় সিনেমাকে বিক্রি করছে অন্য দেশে। তার জন্যে হয়তো বিশাল আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে, কিন্তু ভারত সরকারের কী লাভ হচ্ছে এই মেগা ইভেন্ট থেকে। ১৮ বছরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় ছবিকে কতটা তুলে ধরতে সক্ষম আইফা? প্রশ্ন সিবিএফসি প্রধানের। আগে যদিও বা বিভিন্ন প্রদেশের ছবি আইফা-র মঞ্চে জায়গা পেত, এখন অনুষ্ঠানে শুধুই থাকে বলিউডি ছবি। নিজেদের ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্মস অ্যাওয়ার্ড বলা উচিত্ নয়, আইফার আয়োজকদের, কারণ বলিউড মানে ভারতীয় ছবি নয়, মন্তব্য পহেলাজের।