নয়াদিল্লি: সম্প্রতি পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের দেহ উদ্ধার ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। করাচির আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন অভিনেত্রী। ময়নাতদন্তের পর পুলিশের সন্দেহ, প্রায় ৯ মাস আগেই মৃত্যু হয়েছে হুমাইরার। তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধারের পর থেকেই উঠছে নানা প্রশ্ন।  কারও সঙ্গে কি যোগাযোগ ছিল না তাঁর ? ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে,  অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর মা-বাবার কোনও সম্পর্ক ছিল না।  মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েও নাকি দেহ দেখতে চাননি মা-বাবা। এখন আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। 

শরীরের উপর বাসা বেঁধেছে পোকামাকড়            

পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উঠে আসছে ভয়াবহ সব তথ্য । দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি সব কালো হয়ে গিয়েছে।  শরীরের উপর বাসা বেঁধেছে পোকামাকড়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত ,  হুমাইরার দেহ পচনের এমন পর্যায়ে চলে যায় যে,  মুখ চোখ বোঝাই যাচ্ছে না। শরীরের কিছু অংশে টিস্যু বলে আর কিছুই ছিল না।  স্পর্শ করা মাত্রই হাড়গুলি ভেঙে যেতে শুরু করে। পচে গিয়েছে মস্তিষ্ক।  শরীরের ভেতরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলিও পচে কালো হয়ে গিয়েছিল । তবে হাড় ভাঙার কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। তদন্তকারীরা দেখেন,  দেহাবশেষ পোকামাকড়ে ভরে গিয়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, তাঁর মৃত্যুর পর সেখানে কেউই সম্ভবত ঢোকেনি। দিনে দিনে স্বাভাবিক নিয়মেই পচে যাচ্ছিল তার দেহ। 

ঘুরে বেড়াচ্ছিল বাদামী পোকা

ময়নাতদন্তের ফলাফল  বলছে, কোনও মেরুদণ্ড অবশিষ্টই ছিল না, কারণ দেহটি অত্যন্ত পচে গিয়েছিল। ওই জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল বাদামী পোকামাকড়।  পচনের মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করা যায়নি এখনও পর্যন্ত। তবে, জিও নিউজে দাবি,  ডিএনএ প্রোফাইলিং এবং টক্সিকোলজি পরীক্ষা করলে মৃত্যুর কারণ সামনে আসতে পারে। 

কীভাবে উদ্ধার হয় দেহ? মাসের পর মাস বাড়ির ভাড়া মেটাননি হুমাইরা আসগর। বাড়িওয়ালা ভাড়া না পেয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর আদালতের নির্দেশে ফ্ল্যাট খালি করতে গিয়ে মৃতদেহটি মেলে।  পুলিশ  পচাগলা দেহটি উদ্ধার করে।  

প্রথমে বাবা-মা দেহ নিতে অস্বীকার করলেও পরে তার ভাই নাভিদ আসগর  তার দেহাবশেষ নিতে আসেন। মৃতদেহটি মারাত্মকভাবে পচে যাওয়ায় এবং দৃশ্যত শনাক্তযোগ্য না থাকায়  ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। মৃতার ভাই জানান, তাঁরা সব আইনি লেখা-পড়া করে অভিনেত্রীর দেহ গ্রহণ করেছে।