কলকাতা: এইমুহূর্তে ভারতীয় সিমেনার অন্য়তম সেরা অভিনেতার তালিকায় য়াঁরা থাকবেন, তাঁদের মধ্য়ে অন্য়তম পঙ্কজ ত্রিপাঠি। তিনি প্রধানত হিন্দি ছবিতেই কাজ করেন। ২০০৪ সালে 'রান' এবং 'ওমকার' ছবিতে ছোটখাটো চরিত্রের অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তবে তারপর ৪০ টিরও বেশি চলচ্চিত্র এবং প্রায় ৬০টি টেলিভিশন শোতে কাজ করেছেন পঙ্কজ। নিজের অভিনয়গুনে তিনি বিশেষ জায়গা দখল করে নিয়েছেন দর্শকের মনে।
ফুক্রে, মাসান, বেরিলি কি বারফি,নিউটন, ফুক্রে রিটার্নস, স্ত্রী'র মত হিট ছবিতে পঙ্কজের অভিনয় আলাদা করে নজর কেড়েছে। নিউটন-এ অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।
বেশ কয়েকবছর ধরে ধারবাহিকভাবে ভালো কাজ করার জন্য় সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল অফ মেলবোর্ন সম্প্রতি পঙ্কজ ত্রিপাঠিকে ডাইভারসিটি ইন সিনেমা পুরস্কারে সম্মানিত করেছে। এই পুরষ্কারটি এমন শিল্পীদের জন্য যাঁরা বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের ছাপ রেখেছেন।
পঙ্কজ ত্রিপাঠির জন্ম নিম্নবিত্ত পরিবারে। তাঁর বাবা কৃষক ও পুরোহিত হিসাবে কাজ করতেন। স্কুলে একাদশ শ্রেণি অবধি তিনি কৃষক হিসাবেও কাজ করেছিলেন। জানা যায়, গ্রামে উৎসবের সময় তিনি একজন মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। যা গ্রামবাসীরা প্রশংসা করেন এবং তাঁকে অভিনয় কেরিয়ার গড়তে উৎসাহ দেয়। তিনি হাইস্কুল শেষে পাটনায় চলে আসেন। সেখানে তিনি হাজিপুরের হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি থিয়েটার করেছিলেন। একটা সময় তিনি পাটনার একটি ফাইভ স্টার হোটেলেও কাজ করেন। প্রায় সাত বছর পরে, তিনি ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামাতে ভর্তির জন্য দিল্লিতে চলে আসেন, সেখান থেকে তিনি ২০০৪ সালে স্নাতক হন।
ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে গ্র্যাজুয়েশন করার পরে, পঙ্কজ ত্রিপাঠি ২০০৪ সালে মুম্বই চলে আসেন। ১৫ জানুয়ারি ২০০৪ এ ত্রিপাঠি মৃদুলাকে বিবাহ করেছিলেন এবং তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।