রঞ্জিত সাউ, বিধাননগর: ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ৩টে কল সেন্টারে হানা দিয়ে এক মহিলা-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, প্রতারকদের মোডাস অপারেন্ডি ছিল, কল সেন্টারের আড়ালে বিদেশি নাগরিকদের মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রতিশ্রুতি এবং তার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া। সম্প্রতি ভুয়ো কল সেন্টারের আড়ালে এভাবে ভিনদেশিদের প্রতারণা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানতে পারে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪১টা মোবাইল ফোন, প্যান কার্ড, ডেবিট কার্ড-সহ একাধিক নথি। চক্রের জাল কতদূর ছড়িয়ে রয়েছে তার সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।
গত ১০ অগাস্টও বিধাননগরেই ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ভুয়ো কল সেন্টার খুলে দেশে ও বিদেশে টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করত একটি গ্যাং। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্যাংটিকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেক সেক্টর ফাইভে ম্যাট্রিক্স বিল্ডিংয়ে অফিস খুলে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা করতেন অভিযুক্তরা।
সাম্প্রতিক কালে একের পর এক ভুয়ো কল সেন্টারের সন্ধান মিলছে শহরে। এই মাসেই কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণার অভিযোগে এক চক্রের পাণ্ডা সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। স্বাস্থ্য বিমা করিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন লোককে টার্গেট করে স্বাস্থ্য বিমা করিয়ে দেওয়ার নামে ফাঁদ পাতত অভিযুক্তরা। তারপর ধাপে ধাপে নেওয়া হতো টাকা। টাকা নেওয়ার পর গ্রাহকরে সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করত অভিযুক্তরা।
দিন দিন বাড়ছে সাইবার ক্রাইম। এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রের রিপোর্ট। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৯৩ হাজারের বেশি সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ জমা পড়ে। লোকসভায় বাদল অধিবেশনে  একথা জানানো হয় কেন্দ্রের তরফে। এর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, একই সময়ে দেশে ৪৬টি সাইবার সন্ত্রাসের রিপোর্ট জমা পড়েছে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০ -এর ৬৬এফ ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।