কলকাতা:  তিনি অভিনেতা, তিনি সামলাচ্ছেন পরিচালক, প্রযোজকের দায়িত্বও। শুধু কী তাই? টলিউড থেকে বলিউডে তাঁর অবাধ যাতায়াত। বাংলায় যেমন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তেমনই কাজ করছেন বলিউডের একাধিক তারকাদের সঙ্গে। কিন্তু কী হত যদি রুপোলি পর্দায় পাই না রাখতেন তিনি? ছোট থেকে কোন নেশাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর? এবিপি লাইভের 'যদি অভিনেত্রী না হতাম' সিরিজে নিজের স্বপ্ন নিয়ে মুখ খুললেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee)।


যদি অভিনেতা না হতেন পরমব্রত?


নববর্ষেই মুক্তি পাবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee), যীশু সেনগুপ্ত (Jissu Sengupta) অভিনীত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিক 'অভিযান'। এই ছবিতে অভিনয়ও করেছেন পরমব্রত। আপাতত নতুন ছবির গুরুদায়িত্ব সামলাতেই ব্যস্ত তিনি। কিন্তু যদি এই সমস্ত ব্যস্ততা থেকে দূরে থাকতেন তিনি? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে পরমব্রত বললেন, ' যদি অভিনেতা, পরিচালক বা প্রযোজন কিছুই না হতাম, তাহলে হয়তো শিক্ষক হতাম আমি। পড়াতাম। অথবা, মিউজিশিয়ান হতাম।' প্রসঙ্গত, অভিনয়ের পাশাপাশি, গীটারে বেশ স্বচ্ছন্দ পরমব্রত।


আরও পড়ুন: 'ঋষির খোঁজ নিয়ে ফোন করতে বলিনি, যা খুশি বলছে রণবীর', বিস্ফোরক রণধীর


'অভিযান' -এর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে পরমব্রত বলছেন, 'চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি শ্যুটিং করতে পারতেন না সৌমিত্র জ্যেঠু। ওনাকে নিয়ে ছবি বলে উনি একটু বেশি সময় দিতে রাজি ছিলেন। কিন্তু ৪ ঘণ্টার বেশি কাজ ওনার শরীরে সহ্য হত না। ৪ ঘণ্টা হয়ে গেলেই উনি ভুলে যেতেন বা পরিশ্রান্ত বোধ করতেন। তাই ৪ ঘণ্টা কাজের মধ্যে দিয়েই ওনার অংশের শ্যুটিং শেষ করতে হয়েছিল। শ্যুটিং করতে গিয়ে ওনাকে আলাদা করে চেনার সুযোগ হল না।'


সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তথাকথিত বাণিজ্যিক ছবি বানাতে চাননি পরমব্রত। তিনি চেয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে আর্কাইভ করতে চেয়েছিলেন, ট্রেলারে নিজে মুখেই সেকথা বলছেন পরিচালক-অভিনেতা। তাঁর দাবি, 'এই ছবির মধ্য দিয়েই অচেনা সৌমিত্রকে চিনবেন দর্শকরা। কিংবদন্তীর জীবনের খুঁটিনাটি ফুটে উঠবে গোটা ছবি জুড়ে।