কলকাতা: সাত পাকে বাঁধা পড়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেজে উঠেছে  উদয়পুরের হোটেল লীলা প্যালেস। আগামী ২৩ ও ২৪ তারিখ বিয়ের যাবতীয় রীতি রেওয়াজ সারা হবে সেখানেই। আর আজ, রাজস্থানে পৌঁছলেন হবু দম্পতি রাঘব চড্ডা (Raghav Chaddha) ও পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra)। 


আজ উদয়পুর বিমানবন্দরে ক্যামেরাবন্দি হন রাঘব ও পরিণীতি। একটি লাল জাম্পস্যুট পরেছিলেন পরিণীতি, সঙ্গে ছিল হালকা গোলাপি স্টোল। চোখে সানগ্লাস থাকলেও স্পষ্ট তাঁর নো মেক-আপ লুক। পরিণীতি কখনোই খুব বেশি সাজসজ্জা পছন্দ করেন না। আজ তাঁর এয়ারপোর্ট লুকেও ছিল সেই ছোঁয়া। কাঁধ অবধি চুল খোলাই ছিল। অন্যদিকে রাঘব বলেছিলেন একটি নীল ডেনিম ও কালো শোয়েট শার্ট। তাঁর চোখেও ছিল সানগ্লাস। দুজনে একই সঙ্গে বিমানবন্দরে আসেন। 


উদয়পুরে এসে বেশ অবাক হন রাঘব ও পরিণীতি। তাঁদের স্বাগত জানাতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছিল বিমানবন্দর সংস্থা। বিশাল প্ল্যাকার্টে তাঁদের ছবি ব্যবহার করে লেখা হয়েছিল শুভেচ্ছাবার্তা। সেদিকে চোখ পড়তে অবাক হন দুজনেই, খুশিও। ধন্যবাদ জানিয়ে বিমানবন্দর ছাড়েন নিজেদের গাড়িতে। অন্যদিকে আজই উদয়পুর বিমানবন্দরে হাজির হন অতিথি অভ্যাগতরাও। পরিণীতি ও রাঘবের বাবা-মাকেও দেখা যায় বিমানবন্দরে। 


সূত্রের খবর, ১০০ জন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী থাকবেন পরিণীতি-রাঘবের বিয়ের আসরে। বিয়ের স্থান 'হোটেল লীলা প্যালেস' তৈরি হয়েছে পিচোলা হ্রদের মাঝখানে। লেকের মধ্যিখানে চার থেকে পাঁচটি নৌকায় থাকবেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এই হোটেলগুলিতে পৌঁছনোর জন্য যে প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে সেই জেটিতে মোতায়েন করা থাকবে বিশেষ নিরাপত্তারক্ষী। 


ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ খবর, বিয়ের আসরের গোপনীয়তা বজায় রাখতে একটি চুক্তিও তৈরি করা হয়েছে। হোটেলের পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা বদলে ফেলা হয়েছে। কর্মচারী ছাড়া অন্য কেউ হোটেলে প্রবেশ করলে তাঁদের পুরোপুরি স্ক্যান করা হবে বলে খবর। শহরের ১৫টি স্থানে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। মনিটরিং হবে কড়াভাবে। বিমানবন্দর থেকে হোটেল পর্যন্ত রাস্তায় বর কনে ও অন্যান্য অতিথিদেরও নিরাপত্তার ঘেরাটোপে নিয়ে যাওয়া হবে। পুলিশ ও অতিরিক্ত বাহিনী ছাড়া ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরাও থাকবেন বিমানবন্দরে। 


হোটেল সূত্রে খবর, ছবি ও ভিডিও যাতে কোনও অতিথিই না ক্যামেরাবন্দি করতে পারেন তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা হোটেলে ঢুকছেন তাঁদের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় নীল রঙের টেপ লাগিয়ে দেওয়া হবে বলে খবর। এই নীল রঙের টেপের বিশেষত্ব হচ্ছে, একবার এটি ফোনের ক্যামেরায় লাগানোর পর সেটি খুলে ফেললে টেপে একটি তীর চিহ্ন দেখতে পাওয়া যাবে। এর থেকে সহজেই বোঝা যাবে যে ক্যামেরা ব্যবহারের জন্য টেপ সরানো হয়েছে। হোটেল স্টাফ থেকে শুরু করে, তাঁবু, ডেকরেশন, সাউন্ড সিস্টেম, শেফ সকলের ক্ষেত্রেই এই নিয়মাবলী প্রযোজ্য। হোটেলের স্টাফ ও অন্যান্য কর্মচারীরা তিন দিন হোটেলের বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। 


আরও পড়ুন: Kuch Kuch Hota Hai: কর্ণের ছবির নাম শুনেই কাজ করতে চাননি জাভেদ আখতার, ভুল ভেঙেছিল পরে!