কলকাতা: নায়িকার বিয়ে বলে কথা.. তার সাজপোশাক কী এক্কেবারে সঠিক না হলে কী চলে! বিয়ে মানেই তো চিরকাল মনে রেখে দেওয়ার মতো একটা দিন। আর প্রত্যেক কনেই চান, তাঁর বিয়ের সাজকে একটু বিশেষ করে রাখতে। সেই দৌড়ে রইলেন পরিণীতি চোপড়াও (Parineeti Chopra)-ও।
আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল পরিণীতি বিয়ের ভেল বা ওড়নার ছবি। মণীশ মলহোত্রের তৈরি করা লেহঙ্গায় সেজেছিলেন পরিণীতি আর তাঁর মাটি ছোঁয়া লম্বা ওড়নায় লেখা ছিল স্বামী রাঘবের নাম। জ়রির সূক্ষ হাতের কাজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল এই কাজ। তবে, এই ছবি চোখে পড়েছে সবারই। সাজগোজের ফাঁকে অনেকেই যেটা লক্ষ করেননি, তা হল পরিণীতির চূড়া।
চূড়া বিয়ের একটি অংশ বলেই ধরা হয়। চূড়ার সঙ্গে কলিরা পরার নিয়ম থাকে অনেকেরই। আর অনেকেই এই চূড়া ও কলিরা আলাদাভাবে তৈরি করান। সেখানে ফুটিয়ে তোলেন নিজেদের প্রেমের গল্প। পরিণীতির ক্ষেত্রেও তাইই হল। পরিণীতির বিয়ের গয়না ডিজাইন করেছেন মৃণালিনী চন্দ্র (Mrinalini Chandra)। তিনিই তুলে ধরেছেন পরিণীতির কলিরার বিশেষত্ব।
পরিণীতি ও রাঘবের কলিরা সাক্ষী তাঁদের প্রেমের। কলিকার প্রত্যেকটি মুক্ত তাঁদের একে অপরের সঙ্গে দেখা হওয়ার, ঘনিষ্ঠতার কথা বলে। এছাড়াও কলিরায় রয়েছে রাঘবের নাম, একটি কফি মগ, কাপ কেক, লন্ডন বাস, একটি টেলিফোন বুথ, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ও এক ওমকার চিহ্ন। প্রত্য়েকটির সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বর বধূর পছন্দ ও ভালবাসার গল্প। আজ দিল্লি ফিরতেই নজর কাড়ে পরিণীতি গলায় হীরের মঙ্গলসূত্র। এই প্রথম মঙ্গলসূত্র পরে দেখা গেল পরিণীতিকে। এর আগে তাঁর গলায় দেখা গিয়েছিল ভারি চোকার। সকালে অবশ্য পরিণীতির হাতে দেখা গিয়েছিল বিয়ের আংটি। সেটিও ছিল হীরের।
নিজের বিয়ের ছবি শেয়ার করে পরিণীতি লিখেছিলেন, "প্রাতঃরাশের টেবিলে প্রথম আলাপ থেকেই, আমাদের হৃদয় জানত। অনেক দিন ধরে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম.. অবশেষে মিস্টার অ্যান্ড মিসেস হতে পেরে ধন্য! একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারছিলাম না .. আমাদের একসঙ্গে সারাজীবনের জন্য পথ চলা শুরু হল"