নয়াদিল্লি: থামার কোনও আগ্রহই 'পাঠান'-এর (Pathaan)। মুক্তির প্রায় ১৯ দিন পরও বক্স অফিসে (Box Office Collection) অব্যাহত 'পাঠান' ঝড়। বাড়ছে ব্যবসার পরিমাণ। ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে এই ছবি সাড়ে নয়শো কোটির গণ্ডি পেরিয়ে গেছে।
বক্স অফিসে 'পাঠান' ঝড়
একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) 'পাঠান'। এবার নতুন রেকর্ড তৈরির দিকে এগোচ্ছে সিদ্ধার্থ আনন্দের (Sidharth Anand) ছবি। হিসেব বলছে, খুব শীঘ্রই ১০০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছতে চলেছে শাহরুখ খানের ছবি। এমনকী ভারতেও এই ছবির দুর্দান্ত ব্যবসা অব্যাহত। রবিবার অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি, এই ছবি দেশজুড়ে ১২.৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়া এই ছবি হিন্দি সিনে দুনিয়ার একাধিক রেকর্ড ভেঙেছে। 'বাহুবলী ২'-এর রেকর্ডও এই ছবি এবার ভাঙতে চলেছে।
শাহরুখ খান, দীপিকা পাড়ুকোন, জন আব্রাহাম অভিনীত এই ছবি বক্স অফিসে প্রথম দিন থেকেই ঝড় তুলেছে। এবং খুব শীঘ্রই থামার কোনও পরিকল্পনাও নেই। বিশ্বজুড়ে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা তোলা এখন 'পাঠান'-এর জন্য কেবল সময়ের অপেক্ষা। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৮ দিনে 'পাঠান' বিশ্বজুড়ে ৮৯৭ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। উনবিংশ দিনে সেই পরিমাণ সাড়ে ৯০০ পেরিয়ে যাবে বলেই আশা। দেশে রবিবারের ব্যবসার পর আপাতত 'পাঠান'-এর মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৪৮৬.২ কোটিতে।
প্রসঙ্গত, মুক্তির আগে থেকেই শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে 'পাঠান'। প্রথমত, চার বছর পর এই ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় ফিরেছেন কিং খান। সেই সঙ্গে দীপিকা পাড়ুকোনের যুগলবন্দি। অন্যদিকে খলনায়কের চরিত্রে জন। সেই সঙ্গে এই ছবির প্রথম মুক্তি প্রাপ্ত গান 'বেশরম রং' নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। একাধিক রাজ্যে এই ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করারও হুমকি দেওয়া হয়। আর সেই সমস্ত বিতর্ককে পাশে সরিয়ে একের পর এক বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে চলেছেন কিং খান। কিছুদিন আগে, শহরের এক প্রথম সারির ডিস্ট্রিবিউটর ট্যুইটারে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যায় 'পাঠান' দেখতে ভারতে হাজির বাংলাদেশি অনুরাগীরাও।
আরও পড়ুন: 'Shershah' Reunion: রিসেপশন পার্টিতে বিক্রম বাত্রার পরিবারের সঙ্গে পোজ সিড-কিয়ারার, ছবি ভাইরাল
মুক্তির পর প্রথমবার মিডিয়ার মুখোমুখি হয় ছবির গোটা টিম। সেখানে কিং খান বলেন, 'আমার শেষ ছবি 'জিরো' যখন মানুষের পছন্দ হল না, আমার মাথায় একটা অন্য চিন্তা এল। মানুষের হাবভাব দেখে আমার মনে হয়েছিল, হয়তো আর কখনও আমার ছবি ব্যবসা করতে পারবে না। মানুষের ভাল লাগবে না। আমার মনে হয়েছিল বিকল্প পেশা ভাবা উচিত আমার। হয়তো একটা রেস্তোরাঁ খোলা উচিত। সেই কথা মাথায় রেখে রান্নাও শিখেছিলাম। ইতালিয়ান বানানো শিখেছিলাম। কোথাও না কোথাও গিয়ে আমরা সবাই একই।'