নয়াদিল্লি: চার বছর পর বড়পর্দায় ফিরে ঝড় তুলেছেন বলিউডের বাদশাহ (Bollywood Badshah) শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। গত ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে সিদ্ধার্থ আনন্দ (Sidharth Anand) পরিচালিত শাহরুখ খান, দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone) ও জন আব্রাহাম (John Abraham) অভিনীত 'পাঠান' (Pathaan)। মুক্তির পর থেকেই লক্ষ্মীলাভ অব্যাহত বলিউডের। দর্শকের থেকে দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়ায় আপ্লুত ছবির গোটা টিম এবং অবশ্যই প্রযোজনা সংস্থা 'যশ রাজ ফিল্মস' (Yash Raj Films)। প্রত্যেক দিনই প্রায় ঊর্ধ্বমুখী তাঁদের আয়, ফলে এবার দর্শকদের জন্য বিশেষ উপহার নিয়ে এল যশ রাজ ফিল্মস। 


বিশেষ ঘোষণা 'যশ রাজ ফিল্মস'


বক্স অফিসে ২১ দিন ধরে টানা দুর্দান্ত ব্যবসা করে চলেছে 'পাঠান'। সাফল্যের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া এই ছবি প্রায় ৯৬৩ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। দেশেও বাড়ছে ব্যবসার পরিমাণ। প্রেক্ষাগৃহে আরও একটা সপ্তাহ শেষের মুখে বিশেষ ঘোষণা করা হল প্রযোজনা সংস্থা 'যশ রাজ ফিল্মস'-এর তরফে। 


বৃহস্পতিবার 'যশ রাজ ফিল্মস'-এর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে ঘোষণা করা হল 'পাঠান দিবস' উদযাপনের কথা। পোস্টারের ছবিতে লেখা 'এই শুক্রবার হল পাঠান দিবস'। ক্যাপশনে লেখা হয়, 'পাঠান দিবস আসছে। দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই পাঠান ৫০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে। এই শুক্রবার আমাদের সঙ্গে এসে উদযাপন করুন। গোটা ভারতজুড়ে মাত্র ১১০ টাকায় বুক করুন আপনার টিকিট যে কোনও পিভিআর, আইনক্স সিনেপলিস এবং বাকি অংশগ্রহণকারী সিনেমাহলে।'


 






শাহরুখ খানের ছবিতে দর্শকের অফুরান ভালবাসার জন্য প্রযোজনা সংস্থার তরফে অনুরাগীদের উপহার বলা যেতেই পারে। 'পাঠান' ছবি ইতিমধ্যেই দেশের বাইরেই ৪৪.২৭ মিলিয়ন আয় করে ফেলেছে। দেশে ছবির নেট আয় ৪৯৮.৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ছবির হিন্দি সংস্করণের আয়ের পরিমাণ ৪৮১.৩৫ কোটি টাকা। ডাবিং সংস্করণ আয় করেছে ১৭.৫০ কোটি টাকা। বিশ্বজুড়ে মোট আয় ৯৬৩ কোটি টাকা। 


আরও পড়ুন: Rakhi-Sherlyn: দূরত্ব ভুলে কাছাকাছি রাখী-শার্লিন, জড়িয়ে ধরে, কেক কেটে বন্ধুত্বের উদযাপন


প্রসঙ্গত, মুক্তির পর প্রথমবার মিডিয়ার মুখোমুখি হয় ছবির গোটা টিম। সেখানে কিং খান বলেন, 'আমার শেষ ছবি 'জিরো' যখন মানুষের পছন্দ হল না, আমার মাথায় একটা অন্য চিন্তা এল। মানুষের হাবভাব দেখে আমার মনে হয়েছিল, হয়তো আর কখনও আমার ছবি ব্যবসা করতে পারবে না। মানুষের ভাল লাগবে না। আমার মনে হয়েছিল বিকল্প পেশা ভাবা উচিত আমার। হয়তো একটা রেস্তোরাঁ খোলা উচিত। সেই কথা মাথায় রেখে রান্নাও শিখেছিলাম। ইতালিয়ান বানানো শিখেছিলাম। কোথাও না কোথাও গিয়ে আমরা সবাই একই।'