মুম্বই: চলতি বছরের সবথেকে বেশি যে ছবিকে ঘিরে দর্শকেরা উত্তেজিত রয়েছেন তা অবশ্যই 'পাঠান' (Pathaan)। দীর্ঘদিন পর পর্দায় এই ছবি দিয়েই ফিরছেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। ইতিমধ্যেই ছবির ট্রেলার, টিজার এবং বেশ কয়েকটি গান মুক্তি পেয়েছে। যা একদিকে যেমন বিতর্ক তৈরি করেছে, তেমনই অন্যদিকে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি করেছে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, 'পাঠান'-এ প্রথম ভারতীয় ছবি হতে চলেছে, যা সারা বিশ্বে একশোটিরও বেশি দেশে মুক্তি পাবে।


প্রথম ভারতীয় ছবি হিসেবে একশোটিরও বেশি দেশে মুক্তি পাবে 'পাঠান'-


সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নেলসন ডিসুজা বলেন, 'যশরাজ ফিল্মসের ছবি 'পাঠান' ব্যাপকভাবে মুক্তি পেতে চলেছে। এমনকি এটাই প্রথম কোনও ভারতীয় ছবি হতে চলেছে, যা এই এত দেশে মুক্তি পাবে। আন্তর্জাতিকভাবে শাহরুখ খানের জনপ্রিয়তা নজরকাড়া। আর তাই এই ছবিকে ঘিরে সারা বিশ্বের দর্শকদের উত্তেজনা তুঙ্গে। করোনা পরবর্তী সময়ে ছবির ব্যবসায় ঢেউ তুলতে চলেছে 'পাঠান'। ১০০টিরও বেশি দেশে এই ছবি মুক্তি পাবে। বছরের অন্যতম সেরা ব্যবসাও করতে চলেছে এই ছবি।'


আরও পড়ুন - Sukesh Chandrashekhar: মরক্কোয় বাড়ি কেনার জন্য সুকেশের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন নোরা?


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কিং খানের সঙ্গে কাজের প্রসঙ্গে কথা বলেন দীপিকা। শাহরুখ খানের সঙ্গে দীপিকা পাড়ুকোনকে প্রথমবার জুটি বাঁধতে দেখা যায় 'ওম শান্তি ওম' ছবিতে। এরপর 'চেন্নাই এক্সপ্রেস', 'হ্যাপি নিউ ইয়ার' ছবিতেও তাঁরা জুটি বাঁধেন। স্বাভাবিকভাবেই এই জুটিকে দারুণভাবে পছন্দ করেছেন দর্শকেরা। পর্দায় তাঁদের রসায়নও নজরকাড়ে। আর তাই শাহরুখকে প্রিয় সহ অভিনেতা বললেন দীপিকা। অভিনেত্রী বলেন, 'শাহরুখ এবং আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, আমরা অসাধারণ কিছু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। 'ওম শান্তি ওম', 'চেন্নাই এক্সপ্রেস', 'হ্যাপি নিউ ইয়ার'-এ কাজ করেছি। আর 'পাঠান'-এ আমি ফের আমার প্রিয় সহ-অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। শাহরুখ আর আমার সম্পর্কটা অসাধারণ। আমার মনে হয় দর্শকেরাও আমাদের জুটিটাকে ততটাই পছন্দ করে।'


'পাঠান'-এ শাহরুখ খানের সঙ্গে পর্দায় নজরকাড়া রসায়নের পিছনের গোপন রহস্যটা কী? দীপিকা পাড়ুকোন আরও বলেন, 'এক্ষেত্রে আমি এবং ও (শাহরুখ খান) দুজনেই এর জন্য ক্রেডিট নিতে পারি। আমার মতো শাহরুখও এই ছবির জন্য কড়া ডায়েট এবং শরীরচর্চার মধ্যে থাকত। এককভাবে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেওয়ার পরই তা একসঙ্গে অসাধারণ লেগেছে। কিন্তু দিনের শেষে টিম হয়ে কাজ করার জন্যই সবটা সম্ভব। পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ গোটা ছবিটাকে অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন। আর যার কথা না বললেই নয়, তিনি আমাদের ছবির সিনেমাটোগ্রাফার। প্রতিটা দৃশ্যকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেচেন আমাদের ছবির স্টাইলিস্ট। যে আমাদেরকে পর্দায় যাতে সুন্দর লাগে, তার দায়িত্ব নিয়েছেন। চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য স্টাইলিস্টের ভূমিকা অনেকটা থাকে। তাই আমাদের গোটা টিমটাই অসাধারণ। সবাই খুব ভালো কাজ করেছে বলেই ছবিটা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন দর্শকেরা।'