কলকাতা: 'বামন হয়ে চাঁদে হাত বাড়ানো..' অতি প্রচলিত একটি প্রবাদ। কিন্তু এই প্রবাদই 'কুলপি' ছবির সংলাপ। বর্ষালী চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে পায়েল সরকারের (Paayel Sarkar)-এর নতুন ছবি 'কুলপি'। ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রত্যয় ঘোষ (Prottoy Ghosh)।
বড়পর্দায় বহু নায়কের বিপরীতেই অভিনয় করেছেন পায়েল। প্রত্যয় চেহারাগত দিক থেকে তাদের সবার চেয়ে বেশ খানিকটা আলাদা। গল্পটাও তেমনই। একজন বামনের। এমন অন্যধারার ছবিকে কেন বেছেছিলেন পায়েল? এবিপি লাইভকে অভিনেত্রী বলছেন, 'আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার একটা ছবি যেন অন্য ছবির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়। সে গল্প হোক আর চরিত্র, দর্শকদের একঘেয়েমি উপহার দিতে চাই না আমি। 'কুলপি' ছবির গল্পটা ভীষণ অন্যরকম। বামনত্ব আর বামনদের ঘিরে সমাজের নজরকে তুলে ধরার এমন চেষ্টা বাংলা ছবিতে সচরাচর করা হয় না। তবে 'কুলপি' একেবারেই কমার্শিয়াল ছবি। তবে যাঁরা মনে করেন কমার্শিয়াল ছবিতে গল্প নেই, সেই ধারণাকে ভেঙে দেবে 'কুলপি'।
প্রত্যয়ের সঙ্গে পর্দায় প্রেম? পায়েল বলছেন, 'এই ছবি প্রেমের চেয়েও বেশি বন্ধুত্বের গল্প, সহমর্মিতার গল্প। এই গল্প কেবল একজন বামন আর একটি মেয়ের সম্পর্কের গল্প নয়, একজন বামনের আসেপাশে যাঁরা থাকেন, তাঁদের প্রতি সমাজের ব্যবহার সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে।'
প্রত্যয় ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ নতুন। তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন হল? পায়েল বলছেন, 'প্রত্যয় নতুন হলেও ভীষণ মন গিয়ে কাজ করে আর খুব তাড়াতাড়ি শিখে নেয়। সেটে সবাই ওকে সাহায্য করেছেন। আর সেটে গিয়ে কাজ করলে কোনও সিনিয়র জুনিয়র থাকেন না। আমরা প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখি।'
'কুলপি'-ছবির মধ্যে সমাজের জন্য একটা বার্তা রয়েছে। বাকি সব ছবির থেকে কি পায়েলের কাছে এই কারণেই আলাদা হয়ে থাকবে 'কুলপি'? পায়েল বলছেন, 'কুলপি ছবিটা বিনোদনের উদ্দেশেই তৈরি করা। কাউকে আলাদা করে শেখানোর চেষ্টা বা জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি। একটা পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হয়েছে কেবল। সিনেমা দেখিয়ে সমাজ বদলাতে হবে সেই ধারণায় বিশ্বাস করি না আমি। মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্যই ছবিতে অভিনয় করি। তবে 'কুলপি' দেখে যদি একজন মানুষেরও ধারণা বদলায়, চিন্তাধারা বদলায়, সেটাই বড় পাওনা।'